কলকাতা

ফের শওকত মোল্লাকে সিবিআই তলব, হাজিরা ১৫ জুন

কয়লাপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে পড়েছেন রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। এর আগেও গত ২৭ মে তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড। আনতে বলা হয়েছিল তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এমনকি এটাও বলে দেওয়া হয়েছিল যে, শওকতের নামে যদি কোনও কোম্পানি থাকে তবে সেই সংস্থারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে সিবিআইয়ের কাছে। কিন্তু সেদিন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেননি শওকত। পরিবর্তে ইমেল করে সিবিআইয়ের কাছে ১৫ দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। সেই ১৫ দিনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার ফের সিবিআই নোটিস পাঠালো শওকতকে। এবার সেই নোটিসে বলা হয়েছে আগামী ১৫জুন কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। যদিও হাজিরা না দিলে কী হবে তা সেই নোটিসে বলা হয়নি।  এর আগে গত ২৭ মে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের তরফে শওকতকে বলা হয়েছিল। কিন্তু ২৬ তারিখ রাতেই শওকত ইমেল পাঠান সিবিআইয়ের কাছে। তাতে তিনি লেখেন প্রশাসনিক কাজের চাপ থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে সিবিআইয়ের ঠিক করে দেওয়া সময়ে তাঁর আইনজীবী নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কার্যালয়ে চলে যাবেন। সেই মতো ২৭ মে শওকতের আইনজীবী নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআই যে সব নথি চেয়েছিল সেগুলি জমা করে দিয়ে আসেন। কিন্তু এখন ফের সিবিআই শওকতকে ডেকে পাঠাল জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। ১৫ জুন তাঁকে নিজাম প্যালেসে বেলা ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কয়লাপাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তদন্তেই সিবিআই আধিকারিকেরা কয়লা পাচারের সঙ্গে শওকতের যোগ খুঁজে পেয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হচ্ছে। কয়লাপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকেরা জানতে পারেন, আসানসোল থেকে বেআইনিভাবে কয়লা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও পাচার করা হত কয়লা। যেখানে কয়লা পাচার করা হত সেই জায়গাগুলির তালিকায় নাম রয়েছে ক্যানিংয়ের। সেখানে যে ব্যক্তিদের কাছে এই পাচার করা কয়লা পৌঁছত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা সেইসব ব্যক্তিদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই শওকত মোল্লার নাম উঠে আসে। আর তাতেই কয়লাপাচার কাণ্ডে ক্যানিং পুর্বের বিধায়কের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই কারণেই সশওকত মোল্লার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই।