দেশ

ঝাড়খন্ডে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর, মুখ্যমন্ত্রী পেল ঝাড়খণ্ড। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন। তাতে প্রাথমিক ভাবে সে রাজ্যের টালবাহানার অবসান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিহারের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের রেশ কাটার আগেই বদলে যায় ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করে হেমন্ত সোরেনকে। তার আগে পর্যন্ত সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে ছিলেন হেমন্ত। গেপ্তারির আগে রাজভবনে গিয়ে জমা দেন নিজের ইস্তফা পত্র। ঠিক হয় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন চম্পাই সোরেন। তবে বুধবার থেকে শুক্রবার দুপুর, এই সময়কালে কোনও সরকার ছিল না ঝাড়খণ্ডে। চম্পাই সোরেন সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবারও করেন। বিধায়ক কেনা, অপারেশন লোটাস সহ একাধিক বিষয়ে জল্পনা শুরু হওয়ায় সমর্থনের বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন তিনি। শেষে বৃহস্পতিবার রাতে আমন্ত্রণ আসে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে। শুক্রবার দুপ্রু ১২টার কিছু পর সে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন। তাঁর সঙ্গেই মন্তড়ি হিসেবে শপথ নেন, কংগ্রেস বিধায়কতা আলমগির আলম এবং আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৭ জন বিধায়ক। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৯। কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। হেমন্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পাইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চারজন বিধায়ক কোথায়, সে প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি জোট। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বিধানসভায়।