কলকাতা

রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের সাথে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে জরুরি বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

নবান্ন থেকে সোজা রাজভবনে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে জরুরি বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরের দিনই রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রাজ্যপাল। ছিলেন রাজ্যপালের স্ত্রীও। পরে এসে ছবি নিজেই পোস্ট করেন রাজ্যপাল। কী আলোচনা হয়েছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আলোচ্য বিষয়ে মুকুল রায় যে উঠে এসেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, মুখ্যমন্ত্রী মূলত বিধান পরিষদের প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকাড়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। চলতি বাজেট অধিবেশনেই বিধানসভায় আর্টিকেল ভোটাভুটিতে পাশ হয় বিধান পরিষদ প্রস্তাব। যা আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্য প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় এই রিপোর্ট এনেছিল তৃণমূল। করা হয়েছিল অ্যাড-হক কমিটিও। প্রায় ১০ বছর পর ওই রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়। ভোটাভুটিতে ২৬৫ জন বিধায়কের মধ্যে বিধান পরিষদ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৯৬টি। বিপক্ষে পড়েছিল ৬৯টি ভোট। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১জন সদস্যকে নিয়ে বাংলায় বিধান পরিষদ গঠিত হয়েছিল। তবে ১৯৬৯ সালের ২১শে মার্চ বিধান পরিষদকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়। যদিও এখনই এই বিল আইনে পরিণত হচ্ছে না। এর পর প্রস্তাবটি লোকসভা যাবে। সেখানে পাশ হলে যাবে রাজ্যসভায়। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিধান পরিষদ প্রস্তাব আইনে পরিণত হবে। তবে লোকসভা বিজেপি সাংসদদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। ফলে এই বিল আদৌও পাশ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

https://twitter.com/i/status/1415282705105780736