প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, আপনারা জানেন আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল রাজঘাটে। ভারতের যে কটি স্মৃতিসৌধ করেছে তার অন্যতম রাজঘাট। এর আলাদা তাত্পর্য রয়েছে। গান্ধীর দেখানো পথ শান্তির পথ, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর যে অবদার তারই প্রতীক এই রাজঘাট। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে আমরা একাধিকবার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চিঠি দিয়েছি। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে একশো দিনের টাকা ও আবাস যোজনায় ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বাংলার। এই টাকা জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্য বাড়ি ধসে ৩ শিশুর মৃত্যুর কথা টেনে অভিষেক বলেন, আপনারা জানেন ২ দিন আগেই বাঁকুড়ায় ৩টি ছোট্টা শিশু উঠনে খেলা করেছিল। দেওয়াল ভেঙে তা চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আজ যদি তাদের পাকা বাড়ি থাকতো তাহলে তাদের মরতে হতো না। কেন্দ্রের জেদ, বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখব। আবাস যোজনার তালিকায় ওই ৩ শিশুর পরিবারের নাম ছিল। তা তারা পায়নি। বাড়ির টাকা বন্ধ, জলের টাকা বন্ধ, রাস্তার টাকা বন্ধ, একশো দিনের টাকা বন্ধ। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মালা দিয়ে আমরা রাজ্যের অধিকার আদায়ের লড়াই শুরু করেছি। ঠিক একটার সময়ে এখানে ঢুকেছি। একটা ১০ থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যেক ১০ মিনিট অন্তর সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, দিল্লির পুলিস এসে মহিলাদের উপরে আক্রমণ করে, ধস্তাধস্তি করে। বলে এই আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। এখানে বসার অনুমতি নেই। তাদের জানা উচিত মহাত্মা গান্ধী কারও নিজস্ব সম্পত্তি নয়। সবাই এখানে এসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারে। জোর করে পুলিস তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। আমরা ২ ঘণ্টা থাকব বলেছিলাম। কোনও রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া হয়। বাংলার টাকা ছাড়ার দাবিতে আমরা প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেছি।