কলকাতা

ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রাজ্য। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আর্থিক সাহায্য প্রদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১০০ জন ছেলেমেয়ের পড়াশোনা’র দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫০ জন ছেলে এবং ৫০ জন মেয়ে।  এদিন তিনি জানান, বাংলার ১০৩ জন মৃত। এর মধ্যে ৮৬ জনের দেহ ফিরেছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা, ১০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। হোমগার্ড পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে ১ জনকে। অঙ্গহানি হয়েছে ৩ জনের। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা, ১০ হাজার টাকা এবং চাকরির নিয়োগপত্র। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৭২ জন। তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ টাকা, ১০ হাজার টাকার চেক। এঁরা আগামী ৩ মাস করে পাবেন ২ হাজার টাকা করে।  অল্প আহতরা পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকার সাহায্য। এঁদের সংখ্যা ৬০৫ জন। পরিযায়ী শ্রমিক  ৭৭৩ জন। তাঁরা পাচ্ছেন এককালীন ১০ হাজার টাকা। অল্প আহত এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা আগামী ৩ মাস পাবেন ২ হাজার টাকা করে। এদিন তিনি বলেন, ৫০ জন নিখোঁজ। তাঁদের তথ্য পেতে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। তাঁর নির্দেশ, জেলাশাসক-কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ যেন চিকিৎসাধীনদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের কোনও সন্তান শিক্ষার জন্য সাহায্য চান কি না।  যেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছিলেন, তাঁদের এই রাজ্যেই কাজের ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে তাঁর নির্দেশ, ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের যেন আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে কাজে যুক্ত করা যায়।   এদিন তিনি জানান, আগামী ৬ মাস বিভিন্ন জেলায় ১ জন করে নোডাল অফিসার থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চাইতে বা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন ট্রেন যাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।