জেলা

স্টিলের থালায় ভাত মেখে খেতে খেতেই স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ কথা শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী

সুন্দরবন সফরের দ্বিতীয় দিনে কখনও লঞ্চের স্টিয়ারিং হাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে, আবার কখনও ভাতের তালা হাতে নিয়ে গ্রামের মানুষের অসুবিধার কথা শোনেন তিনি। এদিন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত স্টিলের থালায় ভাত মেখে খেতে খেতেই গ্রামের মানুষদের অভাব-অভিযোগ শুনলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন চাটাই বুনতে বুনতে মণ্ডলবাড়ির গ্রামের মেয়েদের তাঁর প্রশ্ন, ‘দুপুরের খাওয়া হয়েছে?’ দেওয়াল ঘড়ির দিকে এক পলক দেখে নিয়ে নমিতা মণ্ডল বললেন, ‘না দিদি, খাইনি। একটু পরে খাব। আপনি খাবেন?’ উত্তর এল সঙ্গে সঙ্গেই, ‘খাব’। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে পল্লিবধূরা তখন চোখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। এক গৃহবধূ বললেন, ‘দিদি, আমাদের তো ভাত আর ট্যাংরা মাছের ঝোল হয়েছে। মোটা চালের ভাত আপনি খেতে পারবেন?’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘কেন পারব না? দিন আমাকে খেতে!’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা খাবার নয়! হাসনাবাদের খা পুকুর গ্রামের মানুষের হাতে বানানো মোটা চালের ভাত, ট্যাংরা মাছের ঝোল, আলুর তরকারি আর বড়া খেয়ে বুধবার দুপুরের খাওয়া সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুদিনের সফরে সুন্দরবনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত কাটিয়েছেন টাকিতে। বুধবার সকাল হতে না হতেই স্ব-মহিমায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে।এদিন টাকি থেকে জলপথে মুখ্যমন্ত্রীর লঞ্চ প্রথমেই পৌঁছয় হাসনাবাদের খা-পুকুরে। সঙ্গীদের নিয়ে খা পুকুরের বৈদ্যপাড়া ঘাটে নামেন মমতা। সেখান থেকে সটান পৌঁছে যান এলাকার জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে।ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো। অন্যান্য দিনের মতো, বুধবারও ক্লাস চলছিল খা পুকুর জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে। স্যরদের পড়া মন দিয়ে শুনছিল ছাত্রছাত্রীরা। হঠাৎই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন। প্রথমটা থতমত খেয়ে গেলেও আস্তে আস্তে সহজ হতে শুরু করে খুদের দল।ছোট্ট ছেলেমেয়েদের হাতে একে একে শীতের জামা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।