আজ সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গনে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বইমেলার মঞ্চ থেকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কলকাতা বইমেলা একদিন বিশ্বে এক নম্বর হবে। প্রথম যখন কলকাতা বইমেলা শুরু হয় তখন একটা স্টলের সঙ্গে আর একটা স্টল গায়ে লেগে থাকত। আর এখন বইমেলা নিজস্ব জায়গা খুঁজে পেয়েছে। এক একটা স্টল সুন্দর করে সাজানো, বিভাজন দেখে আমি অভিভূত।’ এবার বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি ইউনাইটেড কিংডম। এদিন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস, ভারতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট। তাঁদের ধন্যবাদ জানান মমতা। বলেন, ‘লন্ডন শুধু ওদের নয় আমাদেরও শহর। ইংল্যান্ড গিয়ে কোনোদিন গাড়ি ব্যবহার করিনি। হেঁটে হেঁটে ঘুরেছি। ওখানকার সব রাস্তার নাম জানি। সামনের জুন মাসে আবার যাওয়ার কথা রয়েছে। ইংল্যান্ড আমাদের দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। ওদের সাহিত্য, শিল্প আমাদের দেশকে অনেক উন্নত করেছে।’ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ব্রিটিশ উপরাষ্ট্রদূত আলেক্স এলিস, সাহিত্যিক বাণী বসু, পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য। ছোট ও মাঝারি প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল মিলিয়ে স্টলের মোট সংখ্যা এবার এক হাজার। এ বারের থিম কান্ট্রি- ব্রিটেন। সরাসরি ও যৌথভাবে মেলায় অংশগ্রহণ করছে কুড়িটি দেশ। বাংলাদেশ প্যাভিলয়নে সে দেশের ৫০টি প্রকাশনা আসছে। বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ- ‘লিটারেচার ফেস্টিভেল’ অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৮শে জানুয়ারি। মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য থাকছে মোট ৯টি প্রবেশদ্বার। প্রতিটি প্রবেশদ্বারের নাম রাখা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ৷ মেলাজুড়ে থাকছে কড়া নিরাপত্তা ৷ মেলা উপলক্ষে মোট ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৷ প্রতিদিনি বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে ৷ কলকাতার বইমেলা শহরের সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণের বিষয়বস্তু ৷ বইপ্রেমীরা সারাবছর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন ৷ বইকে কেন্দ্র করে মানুষের এক বৃহৎ আদানপ্রদানের ক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই বইমেলা ৷ বইমেলা আসলে মহানগরের স্বতন্ত্র মিলন মেলা ৷ আজ ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা ৷ ভার্চুয়ালি সরাসরি মেলা দেখার সুযোগ থাকছে এবারও।
