জেলা

নদিয়ায় মমতার বৈঠকে ডাক পেলেন মুকুল, আগামীকাল কৃষ্ণনগরে জনসভা তৃণমূল সুপ্রিমোর

এদিন ৩ দিনের সফরে নদীয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্যে মঙ্গলবার নদিয়ায় পৌঁছেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।   সেই প্রশাসনিক বৈঠকেই মমতার ডাক পেয়ে নদিয়ায় পৌঁছলেন খাতায়-কলমে থাকা বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। শুধু প্রশাসনিক বৈঠক নয়, দলীয় বৈঠকেও ডাকা হয়েছে মুকুল রায়কে। তবে এবার বড়সড় চমক দিলেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক দিলেন মুকুল রায়কে। জানা গেছে, আগামীকাল, বুধবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ ময়দানে জনসভা। বৃহস্পতিবার রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি বৈঠকে আমন্ত্রণও পেলেন মুকুল। যদিও এক কালে তিনি বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু একুশের জুনেই ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন অগ্নি কন্যার সুপুত্র মুকুল রায়। এমনকী মুকুল রায়ের স্ত্রীর অসুস্থতার সময়েও শাসকদলের একাধিক নেতা তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই জল্পনা চলছিল যে, হয়তো বিজেপি ছেড়ে খুব মুকুল ফিরবে, ঠিক তাই হল। একুশের ভোটের আগেই তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল। অবশেষে মমতার প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক মিলল মুকুলের। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ফের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হচ্ছেন মুকুল রায়। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে তৃণমূলে নদিয়ার রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে মুকুল রায়ের ডাক মিলেছে। যদিও এই প্রেক্ষিতে উঠেছে নানা প্রশ্ন। রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুকুলকে, শুধু তাই নয় পাশাপাশি, দলীয় বৈঠকেও ডাক পেলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নদিয়ায় পৌঁছেছেন মুকুল (MUKUL ROY)। সেখানেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। তবে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ছিলেন মুকুল। কারণ, ২০১৭ সালে দল পরিবর্তনের পর একুশে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। তখনই জয়ী হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক হন তিনি। অতএব এখনও বিধানসভার খাতায়-কলমে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। যদিও এরপর অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন তৃণমূলের আগের জায়গাতেই নিজেকে পাকিয়ে নিয়েছেন মুকুল। সম্প্রতি ভাইফোঁটা নিতে কালীঘাটে ‘দিদি’র কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেদিন থেকেই ফের জল্পনা শুরু। আবার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সক্রিয় হতে চলেছেন তিনি। আর দিদির হাতে ফোঁটা নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন যে, তাঁর থেকে দিদির একটি উপহার পাওয়া বাকি রয়েছে। আর সেই উপহারটি হবে অবশ্যই রাজনৈতিক উপহার। তা ঘিরেই তুঙ্গে জল্পনা। তাহলে কী আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনো সুখবর দিতে চলেছেন মুকুল।