কলকাতা: রাজ্যবাসীকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন করোনা-যোদ্ধারা। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রমুখরা দিনভর ক্লান্তিহীন পরিষেবা দিচ্ছেন। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই অসম লড়াই প্রাণ কেড়েছে সেই যোদ্ধাদেরও। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। এবার থেকে রাজ্যে কোনও করোনা-যোদ্ধার মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যও দেবে সরকার। বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে ১২ জন সরকারি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় জীবন বাজি রেখে বহু মানুষ কাজ করছেন। আমরা তাঁদের স্যালুট জানাই। তাঁদের সম্মান জানিয়ে একটি মানপত্র ও মেডেল দেওয়া হবে।’ গোটা রাজ্যে প্রায় ১২০০ করোনা-যোদ্ধা রয়েছেন। এদিন ১৩টি জেলার ৪১৫ জনের হাতে ওই মানপত্র ও মেডেল তুলে দেওয়া হয়। মমতা আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা পরীক্ষা আরও বাড়াব। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা একটু বাড়বে। আতঙ্কিত হবেন না। কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করবেন না। কোনও অসুবিধা হলে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। টেস্ট করতে কোথায় যেতে হবে, কীভাবে ভর্তি হতে হবে—এ বিষয়ে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। খুব শীঘ্রই এর জন্য একটি টেলিফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৯ শতাংশ মানুষ অর্থসাহায্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে, তা দ্রুত শুধরে নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, আসন্ন দুর্গাপুজো নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।