জেলা

‘কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা করা হবে না’, টেন্ডার ‘দুর্নীতি’ তদন্ত করে ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রিয়াংকা সেনগুপ্তঃ ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকেও দুর্নীতি প্রশ্নে একইরকম ভাবে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের সবার সামনেই তুমুল ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ফের সেই পূর্ত দফতরের টেন্ডার নিয়ে অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন সবার সামনেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘আর কত খাবে? এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা? তৃণমূল এত দিতে পারবে না।’ জানা গিয়েছে, এদিনের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ জানান ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের এক মহিলা কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ ছিল জেলা পরিষদেরই দুই কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এই দুই কর্মাধ্যক্ষ হলেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো এবং জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত। এই দুইজনের বিরুদ্ধে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে অভিযোগ জমা পড়ে তার মর্মার্থ হল, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের পূর্ত বিভাগের টেন্ডারে এই দুইজন কারসাজি করেন। তাঁদের মনমতো ব্যক্তি টেন্ডার না পেলে অন্তত ৭-৮ বার বরাত বাতিল করেন। আর এদিন এই অভিযোগ শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ শুনেই সাফ জানিয়ে দেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন জেলাশাসক।’ তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এদিন যেভাবে আক্রমণ শানেন তা নিয়েই এখন হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অভিযোগ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘আর কত খাবেন? এবার কি হিরের চচ্চড়ি নাকি সোনার ডালনা খাবেন? এত দিতে পারবে না তৃণমূল। অনেক পেয়েছেন। উজ্জ্বলের নামে আগেও অভিযোগ শুনেছি। এবার শেষবার সতর্ক করছি। না হলে গ্রেফতার করিয়ে দেব। আর শুভ্রা মহিলা হয়েও এত লোভ কীসের? এর পর নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে মেয়েটাকে ভয় দেখাবে না। আমিত্ব ছাড়। আমি-আমি নয় আমরা বলো।’ তিনি এও বলেন, ‘কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা করা হবে না’, ৩ কর্মাধ্যক্ষকে ধমক দিলেন মু্খ্যমন্ত্রী। তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসককে।