কলকাতা

যাদবপুরে এলেন না রাজ্য়পাল, আচার্যের মনোনীত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই সমাবর্তন

নিজে না-এলেও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনিকে পাঠালেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । মঙ্গলবার ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান । এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মতি দেননি আচার্য । ফলে সিভি আনন্দ বোস নিজে হাজির হলেন না ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি দানের অনুষ্ঠানে । কিন্তু তাঁর দুই মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনিদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াতে আপত্তিও জানাননি তিনি । তবে কেন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এলেন না আচার্য সিভি আনন্দ বোস, সেই কথাও সকলকে জানানোর নির্দেশ তিনি দিয়েছেন মনোনীত নমিনিদের । সেই মতোই বৈঠকের রাজভবনের নমিনি কাজী মাসুম আখতার বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে আমার আসা নিয়ে উনি(রাজ্যপাল) কোনও বাধা দেননি । তবে উনি বলেছেন, কেন তিনি এলেন না, সেটা সবাইকে জানাতে । তবে উনি ছাত্রদের জীবন নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ।” যদিও সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে আচার্যের অনুপস্থিতিতে রাজনীতি দেখছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকের সদস্যরা । কোর্ট বৈঠকের সদস্য তথা অধ্যাপক মনোজিত মণ্ডল বলেন, “সকাল থেকে উনি (রাজ্য়পাল) উপাচার্যকে থ্রেট দিচ্ছিলেন আজকে ছুটি নেওয়ার জন্য । কিন্তু সেটা পড়ুয়াদের স্বার্থে উপাচার্য করেননি । সমাবর্তনের বিষয়ে আচার্য সিভি আনন্দ বোস সবটাই জানতেন । কারণ একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে । এছাড়াও তাঁর মনোনীত ব্যক্তিরা প্রতিটা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।” তাঁর সংযোজন, “১৯ নভেম্বর উপাচার্য একটা সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন । তারপরই হঠাৎ তিনি চিঠি দেন । উনি এত বিধির কথা বলছেন জানি না ৷ এদিকে কোন বিধিতে শান্তা দত্ত ডিগ্রি প্রদান করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ? কোন বিধিতে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য একজন বিচারপতি ? উনি আসলে ননসেন্সের মতো কথা বলছেন ।”