প্রাথমিকের টেট কেলেঙ্কারিতে এবার সরাসরি সিপিএম যোগ। অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষক পদে ২৬৯ জনের নাম বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ বাতিল হওয়া সেই তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক সিপিএম নেতার মেয়ের নাম৷ ওই জেলা থেকে ১৭ জনের নাম উঠেছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে৷ তাঁদেরই একজন বৈশাখী সরকার৷ যাঁর বাবা ও মা জেলার পরিচিত বাম নেতা-নেত্রী৷ বৈশাখীর স্বামীও সিপিএমের সক্রিয় সদস্য৷ আদালতের নির্দেশে বৈশাখী শিক্ষিকার চাকরি খোয়ানোয় বিড়ম্বনায় পড়েছে সিপিএম৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে প্রতিদিন গলা ফাটাচ্ছেন বাম নেতারা৷ জেলায় জেলায় আন্দোলন করছেন তাঁরা৷ এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে দলের যোগ খুঁজে পাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব৷ পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বৈশাখীর বাড়ি৷ বাবা বীরেন্দ্রনাথ বসুমল্লিক বাম জমানায় কালনা পুরসভার সিপিএমের সদস্য ছিলেন৷ সেই সঙ্গে সিপিএমের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সংগঠন এবিটিএর শীর্ষ নেতা এবং বাম জমানায় বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্য ছিলেন৷ বৈশাখীর মা গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী৷ স্বামী শুভাশিস ২০১৫ সালে কালনা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী হয়েছিলেন৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বসুমল্লিক পরিবারের এমন কেউ নেই যিনি সরকারি চাকরি পাননি৷ কোন জাদুবলে তাঁরা সরকারি চাকরি পেয়েছেন তা আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মত এলাকার মানুষ৷ প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে ২৬৯ জনের নাম বাতিল হয়েছে৷ তারপরই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে চিঠি গিয়ে মোট ১৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্তের কথা জানিয়েছে৷ সূত্রের খবর, জেলার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নাম ছিল বৈশাখীর৷ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কান্দাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন বৈশাখী৷ এদিকে বসুমল্লিক পরিবারের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ বৈশাখীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷