মালদা

শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হলে কঠোর হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হলে কঠোর হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে । মঙ্গলবার দুপুরে মালদা জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিস হায়াত ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ষিয়ান প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য,  শুভঙ্কর সরকার ।ছিলেন দলের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম, বিধায়ক অর্জুন হালদার প্রমুখ। এদিন সৌমেন মিত্রের নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল উত্তর মালদা নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করে তারা একগুচ্ছ নালিশ জানিয়েছেন।  সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র বলেন,  প্রথম দফার ভোটে যা যা হয়েছে তা দেখে শংকিত ভোটারেরা । এই প্রশাসনকে দিয়ে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানো সম্ভব নয়।  যে কারণে আমরা মালদার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে সরানোর আবারও দাবি জানিয়ে এসেছি।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,  গ্রামে গ্রামে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  নির্বাচন কমিশন তো তিন মাস,  তারপর এই  প্রশাসনই থাকবে। এই হুমকি এবং ভীতি প্রদর্শন নিয়ে নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে জানানো হয়েছে।  কারণ যারা নিরপেক্ষ কাজ করতে চান তারাও আতঙ্কিত। সৌমেন মিত্র বলেন , আজকে আরএসএস আর বিজেপির কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী । ওদেরকে এরাজ্যে ডেকে আনল কারা। এই আরএসএস আর বিজেপিকে নিয়ে জোট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।  এখন তিনি আরএসএসের ভূত দেখছেন।  মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীও জিতবেন এবং অভিজিৎ মুখার্জিও জিতবেন । মালদায় কংগ্রেস কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  হামলা হচ্ছে।  প্রশাসনকে জানানোর পরেও অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ।চাচোঁল সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কংগ্রেসিদের উপর হামলার ঘটনা তুলে ধরেন সৌমেনবাবু । তিনি বলেন,  এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষকের নজরে আনা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন,  শুরুতেই নির্বাচন কমিশন বলেছিল অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।  কিন্তু প্রথম দফা নির্বাচনে যা ঘটলো এরপরে তা ঘটবে না । এর ব্যাখ্যা কি দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন । মারধর চলছে।  অভিযোগ হচ্ছে । অভিযুক্তরা ধরা পড়ছে। না মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে বলেছি নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র্য, গৌরব এবং মর্যাদাকে রক্ষা করুন । এটা করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন থাকা বা না থাকার কোন মানে হয় না । তবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সুদীপ জৈন । এখনও আমরা বলছি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে । ভোটের দিন পরিচয় পত্র ছাড়া যাতে ভোট কেন্দ্রে কেউ প্রবেশ না করতে পারে সেদিকেও কঠোর হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হলে নির্বাচন করাটাই চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।