খেলা

টানা ৫টি ম্যাচ হারল কেকেআর

কেকেআর: ১৫৯-৮ (লিন ৫১, নারিন ২৫)
সানরাইজার্স: ১৬১-১ (বেয়ারস্টো ৮০, ওয়ার্নার ৬৭)
সানরাইজার্স ৯ উইকেটে জয়ী।

টানা ৫টি ম্যাচ হারল কেকেআর। এদিন হারল হায়দরাবাদের কাছে। তাও আবার লজ্জার হার। মাত্র ১৫ ওভারে কেকেআর-এর করা রান ছুঁয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন দুই ওপেনার। মাত্র ৩ ওভারেই ৪০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় কেকেআর। কিন্তু আবারও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ডোবাল নাইট শিবিরকে। সুনীল নারিন আউট হওয়ার পরই কমতে থাকে রান তোলার গতি। ব্যর্থ হন শুভমান গিল। এদিন ফের ব্যর্থ অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। যদিও, তাঁকে ফিরতে হয় রান আউট হয়ে। ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যান নীতীশ রানা এবং আন্দ্রে রাসেলও এদিন প্রত্যাশামতো খেলতে পারেননি। একমাত্র ক্রিস লিন কিছুটা লড়াই দেন। যদিও, তাঁর রান তোলার গতিও ছিল প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটা কম। লিন এদিন ৪৭ বলে ৫১ রান করেন। নারিন করেন ৮ বলে ২৫। নির্ধারিত ২০ ওভারে কেকেআর সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন সানরাইজার্সের দুই ওপেনার। দু’জনেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। এদিনও তাদের সেই ফর্মের প্রতিফলন দেখা গেল খেলার মাঠে। সুনীল নারিন, পীযূষ চাওলা, হ্যারি গার্নিরা তাদের বেগও দিতে পারেননি। সানরাইজার্সের প্রথম উইকেটটি পড়ে ১৩১ রানে। ওয়ার্নার আউট হন ৬৭ রান করে। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলেছে হায়দরাবাদের দলটি। যেটুকু কাজ বাকি ছিল তা শেষ করেন বেয়ারস্টো। তাঁর সংগ্রহ ৮০ রান। জোড়া অর্ধশতরানের ইনিংসের সুবাদে ৫ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।