জেলা

‘বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে জেলে পাঠাচ্ছেন দিদি’, অভিযোগ নরেন্দ্র মোদির

ঝাড়গ্রাম: সোমবার ঝাড়গ্রামের নির্বাচনী জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন তিনি। মোদির অভিযোগ, “বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে মানুষকে জেলে পোরা হয়।” পশ্চিমবঙ্গে রাম-নাম নেওয়া অপরাধ কি না প্রশ্ন তোলেন তিনি। মোদি বলেন, “বাংলায় এখন রাম-নাম নেওয়া কি অপরাধ? ভগবান রামের সামনে সকলের অহঙ্কার চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে দিদি। আপনার অহঙ্কার আর কত দিন থাকবে? বিজেপি ভাগবান রামকে পোলিং এজেন্ট বানিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মমতাদি। আমি ওঁকে জানাতে চাই যে, ভগবান রাম আমাদের শিরায় শিরায় রয়েছেন। উনি আমাদের সংস্কার,

উনি আমাদের প্রেরণা।” এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। সতর্ক না হলে ২৩ মে-র পর মমতা এ রাজ্যে থাকতে পারবেন না বলে হুমকিও দেন তিনি। জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়েই দিদির বিরুদ্ধে তোপ দাগদেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি একাধিক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে এ দিন কাঠগড়ায় তুলতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেশনের মাধ্যমে মানুষকে সস্তায় চাল গম দেওয়ার জন্য কেন্দ্র মোটা টাকা রাজ্যকে পাঠায়। কিন্তু সেই রেশনের টাকা থেকেও

তোলা তুলছে তৃণমূলের এজেন্টরা। জঙ্গলমহলের মানুষকে রেশনে খারাপ চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকী এও শোনা যায় যে গরিব পরিবারের রেশন কার্ডও নাকি আটকে রাখে তৃণমূলের এজেন্টরা। বুঝে পাইনা মেয়েদের সঙ্গে, গরিবদের সঙ্গে দিদির এতো শত্রুতা কেন? পঞ্চায়েত ভোটে এই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে খারাপ হয়েছিল তৃণমূল। পরে ময়নাতদন্তের পর তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও জানতে পেরেছিলেন,

গণবন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতি পরাজয়ের বড় কারণ। স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকেই এ দিন আরও হাওয়া দিতে চান মোদী। তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূলের এজেন্ট ছাড়া একটাও কাজ হয় না। সরকারি পরিষেবা পেতে, ব্যবসা করতে, কাজ করতে গেলেই এজেন্টদের টাকা দিতে হয়। গরিবের টাকা খেয়ে নিচ্ছে তৃণমূল।