বুধবারই অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয় মন্ত্রীর। চেন্নাইয়ের যে হাসপাতালে বালাজির চিকিৎসা করা হচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে এই অস্ত্রোপচারের ফলে তিন ধরনের রক্তবাহিত অসুখের হতে পারে যার জন্য দ্রুত সিএবিজি-বাইপাস সার্জারি করা প্রয়োজন। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্ট্যালিন ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে। আর্থিক তছরুপের মামলায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারপর চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ট্যালিনের ঘনিষ্ঠ সেন্থিলের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত মে মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এরপর মঙ্গলবার সেন্থিলের বাড়ি, তামিলনাড়ুর সচিবালয়-সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেন্থিলের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই তল্লাশি চালাতে এসেছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।বুধবার ভোরে সেন্থিল বালাজিকে সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানে গাড়ি থেকে নামার আগে শুয়ে-শুয়েই কাঁদতে থাকেন তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎমন্ত্রী। গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছতেই ঘিরে ধরেন ডিএমকে সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে চলে স্লোগান। ইডি সূত্রে খবর, বুধবারই তাঁকে বিশেষ আদালতে তোলা হবে। আদালতে ইডি মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি। তবে মন্ত্রীর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বালাজির স্ত্রী। এই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়েছে হাইকোর্ট। ডিএমকে নেতার স্ত্রীর অভিযোগ, কোনও নোটিস বা সমন ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।