বালিগঞ্জের গরচায় একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে বিপুল টাকা উদ্ধার করল ইডি। বুধবার সন্ধেয় দিল্লি থেকে আসা ইডির একটি বিশেষ দল ওই অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, ওই টাকার সঙ্গে কলকাতার একটি নামী ফুড চেনের মালিকের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকেও জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এনিয়ে একজনকে জিজ্ঞসাবাদও করা হচ্ছে। কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৫এ আর্ল স্ট্রিটের ওই অফিসে এমন কিছু লোকের আনাগোনা রয়েছে যাদের সঙ্গে কয়লাকাণ্ডে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার পরই গজরাজ টাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই অফিসে হানা দেয় ইডি। বিপুল ওই টাকা উদ্ধারের পর তা মেশিন দিয়ে গুনতে শুরু করে ইডি। টাকার পরিমাণ কোটির বেশি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যাদের সন্ধানে তদন্তকারীরা এসেছিলেন তাদের একজনকে ইডি আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বেশ কয়েকটি মোটা টাকা লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। কয়লাকাণ্ডের তদন্ত যত এগিয়েছে ততই একের পর এক ব্যক্তি সংস্থার নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় এবার যোগ হল গজরায় টাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড। তদন্তে দেখা যাচ্ছে ওই সংস্থার বেশকিছু বিপুল টাকার লেনদেন রয়েছে। আজ ওই অফিসে হানা দিয়ে কোম্পানির কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যায় ওই কোম্পানির আরও রয়েকটি অফিস রয়েছে শহরে। সেখানেও হানা দিয়েছে ইডি। যিনি মালিক তিনি এখনও পলাতক। তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ ব্যবসাতেও। কেম্পানির কর্মীরা ওই বিপুল টাকার সূত্র কী তানিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না কর্মীরা। ইডি অভিযানের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। তারা এসে ওই কোম্পানির অফিসে ডোকে। কিন্তু তারা শেষপর্যন্ত বেরিয়ে আসেন। সম্ভবত কলকাতা পুলিসকে ওই তদন্তে রাখতে চায়নি ইডি। যে বাড়িতে ওই অফিসটিতে আজ ইডি হানা দিয়েছে সেখানে আরও কয়েকটি কোম্পানির অফিস রয়েছে। জানা যাচ্ছে একাধিক কোম্পানি খুলে বিপুল টাকা সেই কোম্পানিতে খাটানো হচ্ছিল।