শহর জুড়ে ইডির তল্লাশি শুরু। আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড, ক্যামাক স্টিট ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বিভিন্ন অফিসে ইডি অফিসারদের হানা। জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকু যে সব সংস্থার মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ ও অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছিলেন সেই সংস্থাগুলিতে ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছেন। মঙ্গলের সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন দিকে একইসঙ্গে অভিযানে বেরোয় ইডি আধিকারিকদের দল। ইডি সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস সহ তল্লাশি চালানো হচ্ছে একাধিক অভিজাত আবাসনেও। জানা গিয়েছে, ট্যাংরা, আলিপুর, আনন্দপুর, নিউ আলিপুর, হেস্টিংস, বজবজ, মহেশতলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তবে কী কারণে এই অভিযান তা এখনও জানা যায়নি। আনন্দপুরের অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির বিশাল দল। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগের পাশাপাশি বেআইনি লেনদেনের একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই অভিযান। একটি বেসরকারি সংস্থা ইডি রাডারে। তাদের অফিস ছাড়াও বোর্ড ডিরেক্টরদের বাড়িতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি। মূলত, এর পিছনে কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানে এই সংস্থার মাধ্যমে কোনও কালো টাকা সাদা করা হত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় এই মুহূর্তে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। হুগলির বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করে জোড়া লাগিয়ে একটি বড় ফ্ল্যাট তৈরি করেছে। সেখান থেকে মামলার সঙ্গে যুক্ত অগুনন্তি প্রামাণ্য নথি পেয়েছে ইডি বলে খবর। জানা গিয়েছে, কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ২০২২ সালের টেটের ১৮৯ জনের অ্যাডমিট কার্ড এবং ওএমআর শিটের কপি পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য শোনার পর ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । এ নিয়েও বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ED-কে।