বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ রুখতে ১০ জানুয়ারি, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও ষাটোর্ধ্ব, যাঁদের কো-মর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লেখেন –
- করোনা ও ওমিক্রন মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মানার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
- জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর কথা উল্লেখ আছে স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে।
- করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যের হটস্পট এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হবে বলে জানান রাজেশ ভূষণ। প্রয়োজনে এলাকায় কোয়ারান্টাইন সেন্টারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
- বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই জারি থাকছে। তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
- এয়ার সুবিধা পোর্টাল থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে ফিলআপ করতে হবে বিমানযাত্রীদের। কোয়ারান্টাইনের ১৪ দিন তাঁরা কোথায় ছিলেন, সে সম্পর্কে ফর্মে উল্লেখ করতে হবে।
- বিমানযাত্রীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
- কোভিডে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের সাত দিন হোম কোয়ারান্টাইন থাকতে হবে।