গত ২০১৯ সালে বীরভূমের দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-কে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এর আগে সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করছিল । দুই মামলার সব নথি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-কে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চের । এনআইএ-কে সব ধরনের সহযোগিতা করার নির্দেশও রাজ্য সরকারকে দিয়েছে হাইকোর্ট । গত ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বীরভূমের লোকপুর থানার গাংপুর গ্রামে প্রথম বিস্ফোরণটি হয় ৷ বিস্ফোরণে গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায় । একই বছরেই ২৯ অগস্ট সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামে হাইতুন্নেসা খাতুনের গোয়ালঘরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে । সিআইডি দু’টি বিস্ফোরণ মামলার তদন্ত শুরু করে ৷ পরে তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ।
তবে রাজ্যের থেকে নথি না পাওয়ার অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অভিযোগে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। নথি দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য । সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পর্যবেক্ষণ বলেন, “আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এনআইএ-কে পাঠায় । রাজ্যের সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এনআইএ । কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি । যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার থেকে এনআইএ-র ক্ষমতা আরও বিস্তৃত, সেকারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই দুই মামলার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হচ্ছে ।”
