দেশ

ত্রিপুরায় কার্যত ‘ভগবান রামের’ নামেই ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

 বুধবার ত্রিপুরায় এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্যত “ভগবান শ্রী রাম চন্দ্রের”-এর নামেই বিজেপি প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইলেন ! ভাষণমঞ্চ থেকেও “রামলালার জন্য” ত্রিপুরা থেকে দুটি পদ্ম (দুটো আসন) পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফা ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার আগে অসমের নলবাড়িতে সভা করে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে রাজ্যভিত্তিক “বিজয় শঙ্খনাদ মহাসমাবেশ”-এ সংক্ষিপ্ত ভাষণ পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দৃশ্যতই তাঁকে খুব ক্লান্ত লাগছিল। ভাষণে গলাও ছিল খাদে নামানো। সমাবেশে আগের সেই উচ্ছ্বাস নজরে না পড়লেও লোক সমাগম ভালোই ছিল। মোদি শুরুই করেন করজোড়ে দেবদেবীকে প্রণাম করে। বলেন, আজ রামনবমীর মহাতিথিতে অসমে মাতা কামাক্ষ্যা দেবীর ভূমি থেকে ত্রিপুরায় মাতা ত্রিপুরেশ্বরী দেবীর ভূমিতে এসে তাঁকেও প্রণাম করার সৌভাগ্য হলো। তাঁর কথায়, “পাঁচশো বছরের সুদীর্ঘ সময়কাল পরে আজই প্রথম এমন রামনবমী এলো যখন ভগবান রাম অযোধ্যায় ভব্য মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেখানে প্রভুর মস্তকে সূর্যকিরণ পতিত হচ্ছে। আর উত্তর পূর্বাঞ্চলেই সেই সূর্যের কিরণ প্রথম আসে।” নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নরেন্দ্রভাই বলেন, মোদিই ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যে গত দশ বছরে ৫০ বারের বেশি এই উত্তর পূর্বাঞ্চলে এসেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের লুক-ইস্ট পলিসি-কে তিনি “লুট-ইস্ট পলিসি” বলে বিদ্রূপ করেন। বলেন, আমি লুট-ইস্টে তালা লাগিয়ে অ্যাক্ট-ইস্ট চালু করেছি। ফলে বিকশিত ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরা সমেত উত্তর পূর্বাঞ্চলও এখন বিকশিত হচ্ছে। ভাষণ শেষ হতেই নির্বাচনী জনসভার ঘোষিকার কন্ঠে মোদিজিকে “রামলালার এক রূপ” বলেও উল্লেখ করতে শোনা যায়।