বিদেশ

ভারত তার অধিকার প্রয়োগ করে জবাব দিয়েছে, সন্ত্রাস নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর : বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী

‘অপারেশন সিঁদুর’ সফল হওয়ার পর তীব্র ভাষায় পাকিস্তানকে বিঁধল ভারত ৷ বুধবার সরকার জানিয়ে দিল, ভারত পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনার জবাব দেওয়ার এবং প্রতিরোধ করার অধিকার প্রয়োগ করেছে ৷ জোর দিয়ে ভারতের তরফে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস এবং জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে।মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ৷ এরপর বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। সেখানেই বিদেশসচিব-সহ সেনা আধিকারিকরা জানান, বাহাওয়ালপুরের জৈশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি-সহ ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।এদিন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, “পাকিস্তান গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদীদের জন্য নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে ৷ সন্ত্রাসবাদীদের জন্য স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ৷ এই দেশে জঙ্গিরা সাজা পায় না, বরং সুখে নিরাপদে বসবাস করতে পারে ৷ পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তো কোনও পদক্ষেপ করেইনি বরং তাদের বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠেছিল ৷ তারা কেবল অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করে গিয়েছে ৷ এ ক্ষেত্রে ভারত নিজেদের অধিকারের প্রয়োগ করেছে ৷ ভারতের পদক্ষেপ অবশ্যই যথেষ্ট দায়িত্বপূর্ণ ছিল ৷”একই সঙ্গে মিস্রী এও বলেন, “ভারত কেবলমাত্র সন্ত্রাস এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে ৷ ২২ এপ্রিলের ঘটনায় দেশের মানুষ বিচার চাইছিল ৷ পাকিস্তানকে জঙ্গি কার্যকলাপের বিষয় জানানো হলেও কোনও ক্ষেত্রেই তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷ এই হামলায় জঙ্গিদের ইমারত ভাঙা হয়েছে ৷ তাদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৷” তবে এই হামলায় কোনও সাধারণ নাগরিক বা পাকিস্তান সেনা ক্যাম্পের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন বিদেশ সচিব ৷ পহেলগাঁও হামলায় 26 জন নাগরিক নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুরের অধীনে সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। পহেলগাঁও হামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে মিস্রী বলেন, “এই নিন্দনীয় জঙ্গি কর্মকাণ্ডের অপরাধী, সংগঠক, অর্থ সাহায্যকারী এবং পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহি করার এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া উচিত ৷ ভারতের পাল্টা পদক্ষেপকে এই প্রেক্ষাপটেই দেখা উচিত ৷” তাঁর দাবি, ২২ এপ্রিলের হামলার অপরাধী এবং পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনা অপরিহার্য মনে করা হয়েছে।