গতকাল রাতে ভারতের ৩৬ শহরের সামরিক ও অসামরিক পরিকাঠামো এবং ধর্মস্থানে আঘাত হানার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। এজন্য ব্যবহার করে ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন। ছোড়া হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্রও। যদিও তাদের প্রতিটি হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এর পরে শুরু হয় প্রত্যাঘাত পর্ব। শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনা জানাল, পাকিস্তানের ৭টি জায়গা ধ্বংস করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি বিমানঘাঁটি এবং ২টি রাডার। শুক্রবার গভীর রাতে পাকিস্তানের মোট ৭টি ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারত। ভারতীয় সেনা যে জায়গাগুলিতে আঘাত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে রফিকি এয়ার বেস (শোরকোট), মুরিদ এয়ারবেস (পঞ্জাবের চাকওয়াল জেলা), চাকলালা ক্যান্টনমেন্ট, রহিম ইয়ার খান এয়ার বেস, সুকুর এয়ার বেস, সিন্ধ, চুনিয়ান ক্যান্টনমেন্ট, পঞ্জাব, শিয়ালকোট এয়ার বেস, পাসরুর রাডার সাইট। এর মধ্যে আছে রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস। পাক রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে যার দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ড্রোন লঞ্চপ্যাডগুলি। ভারতের এমন দাঁতভাঙা বদলায় স্বভাবতই ভয় পেয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। আজ, শনিবার ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেদেশের পরমাণু অস্ত্র দেখভালের ভার এনসিএ-র হাতে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানের ৫টি বিমান ঘাঁটি এবং ২টি রাডার-এ প্রত্যাঘাত করে ভারত। যার পরে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের আকাশসীমা সব উড়ান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে পাকিস্তানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠকও ডেকেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটি সেদেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ সংস্থা। অসামরিক ও সেনাবাহিনীর প্রবীণ কর্তাদের নিয়ে গঠিত এনসিএ। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরকারি রণকৌশল স্থির করার ভার তাদের হাতে। ফলে শাহবাজ শরিফের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
