একটি ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকা । সংঘর্ষে প্রাণ যায় তিন যুবকের। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় ভারতের মদত আছে বলে দাবি করে বাংলাদেশ । এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত । বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ । আর তাই কোনও ঘটনা ঘটলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্য কারও উপরে দোষ চাপানো তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী দাবি করেন, ধর্ষণের ঘটনার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তাতে ভারত মদত জুগিয়েছে। এ নিয়েই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল দিল্লি। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একাধিক ঘটনা থেকে প্রমাণিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আর তাই নিজেদের আড়াল করতে তারা অহরহ অন্যদের দোষ দেয়। এই প্রথম নয়, এর আগেও তারা একই জিনিস করেছে। মনে হয় এভাবে অন্যদের অভিযুক্ত করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । এসব না করে তাদের উচিত সংঘর্ষের ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা । সংখ্যালঘুদের জমি কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন হিংসার ঘটনায় কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করা । সেটা করতে পারলে তাদেরই ভালো হবে । শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ভারতের দাবি আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই প্রশ্নে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়িয়েছে ভারত। প্রধান উপদেষ্টা মূহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । অন্যদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারত যাতে বাংলাদেশের ফিরিয়ে দেয় সেই দাবি করেছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন। পাশাপাশি ভারতে থেকে বিভিন্ন সময় হাসিনা যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তাতেও খুশি নয় ইউনূস প্রশাসন। সবমিলিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক মোটেই আগের জায়গায় নেই। এমনই আবহে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত একাধিকবার বাংলাদেশ হওয়া বিভিন্ন অশান্তির ঘটনার জন্য ভারতকে দায়ী করেছে অন্তবর্তী প্রসাশন। এবারও তাই হল। যদিও আরও একবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টার দাবি খারিজ করে আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে পাল্টা তাদেরই দুষল দিল্লি।


