দেশ

২২ নভেম্বরের আগেই বিহারে সম্পন্ন হবে বিধানসভা ভোট’, জানাল নির্বাচন কমিশন

নীতীশ সরকারের মেয়াদ শেষের আগে বিধানসভা ভোট হবে বিহারে ৷ রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ৷ 22 নভেম্বর বর্তমান বিজেপি-জেডিইউ সরকারের সময় শেষ হচ্ছে ৷ তিনি দাবি করেন, 22 বছর পর বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন হয়েছে ৷ এই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার ফলে ভোটার তালিকায় শুদ্ধিকরণ হয়েছে ৷ আসন্ন নির্বাচনের জন্য একাধিক নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ৷ পরে এই পদক্ষেপগুলি ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে ভোটের সময় কার্যকর করা হবে ৷ এই উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হওয়ার 15 দিনের মধ্যে ভোটারের কাছে এপিক কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া নিশ্চিত করতে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) চালু হয়েছে ৷ এছাড়া বুথগুলিতে মোবাইল রাখার সুবিধা থাকবে ৷ ভোট পরিচালন সংস্থার শীর্ষকর্তা জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “কোনও ভোটার ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না ৷ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বুথের বাইরে বেরিয়ে তিনি মোবাইল সংগ্রহ করতে পারবেন ৷” এবার ভোটে প্রতিটি বুথে 1 হাজার 200 জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে গতকাল বিহারে পৌঁছয় কমিশনের ফুল বেঞ্চ ৷ এদিন দুই নির্বাচনী কমিশনার সুখবীর সিং সানধু এবং বিবেক জোশীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ৷ বেঞ্চের তরফে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “243টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট বিহারে 38টি আসন তফশিলি জাতি এবং 2টি আসন তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ৷ বিহার বিধানসভার সময় শেষ হচ্ছে 22 নভেম্বর ৷ নির্বাচন তার আগেই হবে ৷ ভোটের কাজের জন্য এই প্রথম নির্বাচন কমিশন বুথ স্তরের আধিকারিকদের (বিএলও) প্রশিক্ষণ দিয়েছে ৷ প্রতিটি বিধানসভায় একজন করে ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) থাকবে ৷ এসআইআর প্রক্রিয়ায় 90 হাজার 207 জন বিএলও সহযোগিতা করেছে ৷ 22 বছর পর ভোটার তালিকায় এই বিশেষ সংশোধনের পর ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণ হয়েছে ৷” এসআইআর প্রসঙ্গে নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, “24 জুন স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন শুরু হয়েছিল ৷ নির্ধারিত সময়ের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে ৷ ইভিএম গোনার সময় কোনও রকম ভুল হলে, ভিভিপ্যাট ফের গোনা হবে ৷” প্রতিটি বুথে 100 শতাংশ ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ 1 অগস্ট বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয় ৷ তালিকা থেকে 65 লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যায় ৷ এর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির সরব হয় ৷ পরে 1 অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন ৷ জ্ঞানেশ কুমারের কথায়, “এর আগে 65 লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল ৷ এবার 3.66 লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগের যোগ্যতা নেই ৷ এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেলাশাসকের কাছে রয়েছে ৷ কারও যদি কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে তিনি জেলাশাসকের কাছে গিয়ে এই সংক্রান্ত তথ্যগুলি দেখে নিতে পারে ৷ জেলায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতির কাছে এই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷” আধার কার্ড প্রসঙ্গে জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য়, “সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং আধার আইনে অনুযায়ী, আধার কার্ড জন্মের প্রামাণ্য নথি নয় ৷ না তো বসবাসের জায়গার প্রমাণ আর না তো নাগরিকতার প্রামাণ্য নথি ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে (ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণের জন্য) আমরা আধার কার্ড গ্রহণ করছি ৷ তবে সুপ্রিম কোর্টও বলেছে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় ৷”