এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত যে সপ্তম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল শ্রীলংকার মহিলা ক্রিকেট দল ৬৫ রানে অলআউট হওয়ার পর। শুধু দেখার ছিল ভারত কত তাড়াতাড়ি এই রান তুলতে পারে, দশ উইকেটে জয় আছে কিনা। দশ উইকেটে জয় এল না বটে। বলা যায় একপেশে ফাইনালে প্রতিপক্ষকে দূরমুশ করে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের মেয়েরা। কয়েক মাস আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে ইংলিশ মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। আজকে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হল। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বিশ্বকাপের আগে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তুলে নিল ভারতের মেয়েরা । এদিন টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চামিরা আতাপাত্তু। ভারতের বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। ভারতের সামনে জয়ের জন্য মাত্র ৬৬ রানের লক্ষ্য খাড়া করতে সমর্থ হয়। ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল ভারত। ৩ ওভারেই তুলে ফেলে ৩০। এরপরই ছন্দপতন চতুর্থ ওভারে রণবীরার বলে স্টাম্পড হন শেফালি ভার্মা (৫)। পরের ওভারেই কভিশা দিলহারির বলে বোল্ড হন জেমিমা রডরিগেজ (২)। দারুণ ব্যাটিং করে ভারতকে জয় এনে দেন স্মৃতি মান্ধানা। ২৫ বলে ৫১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ৬টি ৪, ৩টি ৬। রনসিংঘেকে ৬ মেরে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন স্মৃতি। হরমনপ্রীত কাউর ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এদিন দীপ্তি শর্মা, রেনুকা সিংদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ওপেনাররা। ঝুঁকি নিয়ে রান নিতে গিয়ে তৃতীয় ওভারে রেনুকা সিংয়ের দুরন্ত থ্রো–তে রান আউট হন আতাপাত্তু (৬)। পরের ওভারেই চূড়ান্ত বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৩ বলে হারায় ৩ উইকেট। তৃতীয় বলে হর্ষিতা মাধবীকে (১) তুলে নেন রেনুকা সিং। পরের বলে রান আউট হন অনুষ্কা সঞ্জীবনী (২)। পঞ্চম বলে হাসিনি পেরেরাকেও (০) ফেরান রেনুকা। ৪ ওভারের মধ্যেই ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চূড়ান্ত বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পরের দিকে কোনও ব্যাটার বিপর্যয় সামাল দিতে পারেননি। লোয়ার মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। তিনি ফেরান নিলাক্ষী ডি সিলভা (৬) ও রানাসিংঘেকে (১৩)। অন্যদিকে, রেনুকা তুলে নেন কভিশা দিলহারিকে (১)। শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন স্নেহ রানা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৬৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ২২ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রণবীরা। ৫ রানে ৩ উইকেট নেন রেনুকা। ২টি করে উইকেট নেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও স্নেহ রানা।