রাজস্থানে সামান্য সম্ভাবনা আছে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানায় বিজেপির ফলাফল হতে পারে অপ্রত্যাশিত খারাপ। বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেই এই শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ২০১৮ সালেও বিজেপি পরাস্ত হয়েছিল। গতবার যত যে আসন দল পেয়েছিল, এবার তা আরও কমতে পারে। দলের অন্দরের এই সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করতেই তাই শেষ ভরসা হিসেবে মরিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ময়দানে নেমেছেন। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল ঘোষণা সম্ভবত হয়ে যাবে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই। সেই ফলাফল দেখার পর শুধুই এই রাজ্যগুলিতে নয়, দেশজুড়ে রাজ্য ইউনিটগুলির প্রতিটি স্তরে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তার আগেই তিনটি প্রধান শাখার সভাপতি বদল হয়ে যেতে পারে। মহিলা, যুব এবং ওবিসি মোর্চায় নতুন সভাপতি মনোনীত হবে। পাশাপাশি তৈরি হবে নতুন টিমও। যে রাজ্যগুলিতে ভোট হবে, সেগুলিতেই শুধু নয়। দেশের একাঝাঁক রাজ্য থেকেই বিজেপির জন্য আসছে উদ্বেগজনক বার্তা। লোকসভা ভোটে একের পর এক রাজ্যে আসন এবার কমে যাবে বলেই বিজেপির নিজস্ব ধারণা ও রিপোর্ট। কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এই চারটি রাজ্য থেকে গড়ে অন্তত ৫ টি করে আসন কমে যাবে ২০১৯ সালের তুলনায়। কর্নাটকে এবার ধরে নেওয়া হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ আসন পাবে তারা। কিন্তু বাস্তবে হতে পারে ১৫। বিহারে নীতীশকুমারের সঙ্গে জোট না থাকায় ১০ টি আসনও পাওয়া যাবে কিনা সংশয়। এই কারণেই বিজেপি দলের রাজ্য ইউনিট ঢেলে সাজানো এবং নতুন মুখ নিয়ে আসার পথে হাঁটতে চলেছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেই শুধু নয়। নেতৃত্বেও আনা হবে নতুন সেনাপতি। বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা রাজ্য ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করছেন।