বিজেপিতে ফিরলেন খনি ব্যবসায়ী এবং কল্যাণ রাজ্য প্রগতি পক্ষের বিধায়ক জর্নাদন রেড্ডি। রাজ্যের নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের উপস্থিতিতে পদ্মের পতাকা হাতে নেন তিনি। বিরোধীদের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তর ব্যবহার করে দলে দুর্নীতিগ্রস্তদের আমদানি করছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসকদলের দপ্তরে থাকা ওয়াশিং মেশিনে তাঁদের ধুয়ে ফের মূল স্রোতে আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জনার্দন রেড্ডির বিরুদ্ধে অবৈধ খনি কারবারের ৯টি মামলা চলছিল। সিবিআই তদন্ত ধামাচাপা দিতেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁর স্ত্রীও যোগদান করেছেন বিজেপিতে। ২০২৩ সালে কর্নাটকের উত্তর অংশের বেশ কিছু জেলায় বিজেপির ভোট কেটেছিল কল্যাণ রাজ্য প্রগতি পক্ষ পার্টি। এই দলের একমাত্র বিধায়ক ছিলেন জনার্দন রেড্ডি। সোমবার তাঁর যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই পুরো দলটিই বিজেপিতে মিশে যায়। জনার্দন রেড্ডি জানান, “অমিত শাহ আমায় বলেছিলেন, বাইরে থেকে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি আমায় মনে করিয়ে দেন যে, আমার রাজনৈতিক শুরু বিজেপিতে এবং আমায় দলে ফিরতে বলেন।” ২০০৮-২০১৩ প্রথম দক্ষিণের কোনও রাজ্যে প্রথমবার বিজেপি সরকার গঠন হয়। সেই সরকারে পর্যটন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন জনার্দন রেড্ডি। রেড্ডি ভাইদের বিরুদ্ধে লোহা আকরিক খননের কেলেঙ্কারি সামনে আসে। ২০১০-১১ সালে কর্নাটকের লোকায়ুক্ত রেড্ডি ভাইদের ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১২,২২৮ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে আনে।