কলকাতা

‘ধর্ষকদের যাঁরা মালা পরিয়েছেন, তাঁদের এই আন্দোলনকে ব্যবহার করতে দেব না’, বিজেপিকে সাফ বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

বুধবার সন্ধেয় ফের সংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একগুচ্ছ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানালেন। একই সঙ্গে নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপিকে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, যাঁরা ধর্ষকদের মালা পরিয়েছেন, তাঁদের এই আন্দোলনকে ব্যবহার করতে দেবেন না কোনওভাবেই। এদিন আরজি কর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন আন্দোলনে, প্রতিবাদে, তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কটাক্ষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। চিকিৎসকরা বলেন, ‘আন্দোলন তীব্র না হওয়া পর্যন্ত সিবিআই একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি।’ একই সঙ্গে একহাত নিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। বারবার অভিযোগ উঠেছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনকি চিকিৎসকরা যখন লালবাজার অভিযানে, ফিয়ার্স লেনে অবস্থান করছিলেন, সেখানেও আচমকা হাজির হন বিজেপি সাংসদ, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে তৎক্ষণাৎ ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলে ফেরৎ পাঠান আন্দোলনকারীরা।  আজও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকরা বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি রাজ্যের ক্ষমতা দখলের ক্ষুদ্র স্বার্থে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইছে গোড়া থেকে।’ তারপরেই সরাসরি বিজেপিকে কটাক্ষ করে এবং স্পষ্ট করে বলেন, ‘হাথরাস, কাঠুয়া, উন্নাওতে যারা ধর্ষকের মালা পরিয়েছে, তাদের ক্ষমতা দখলের খেলার চক্করে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে আমরা দেব না।’ বেশ কয়েকজন পরশু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা মহালয়ার দিন অভয়ার জন্য তর্পণ করবেন বলে ভুয়ো খবর ছড়ানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন, এই কর্মসূচির সঙ্গে আন্দোলনরত কোনও চিকিৎসকদের কোনও যোগ নেই। বিভাজনকামী রাজনীতিকে প্রথম দিন থেকে এই আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও উল্লেখ করেন।  যে কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে তাঁদের এই আন্দোলন, এরাজ্যের বাইরে, অন্যান্য রাজ্যেও যে একই ঘটনার প্রকাশ, কিছুক্ষেত্রে বাংলার থেকে তার পরিমাণ অনেক বেশি, সেকথাও এদিন বলেন চিকিৎসকরা।   তাঁদের কথায় উঠে আসে বন্যা পরিস্থিতির কথা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণের পাশে দাঁড়ানোও তাঁদের চলমান আন্দোলনের অংশ বলেই তাঁরা মনে করেন, উল্লেখ করেন তাও।