দেশ

আগামীকাল থেকে ৩ দিন বন্ধ কামাখ্যা মন্দির

অম্বুবাচী হিন্দুধর্মে গুরুত্বপূর্ণ কথা। সংস্কৃত শব্দ অম্ব ও বাচি থেকে এসেছে। অম্ব শব্দের অর্থ হল জল ও বাচির অর্থ বৃদ্ধি। পুরো কথার অর্থ হল, গ্রীষ্মের প্রখর তাপপ্রবাহের পর বর্ষার আগমেন গোটা ধরিত্রী সিক্ত হয়। ফের প্রজননের যোগ্য ওঠার সময়কালকেই বলা হয় অম্বুবাচী। এই সময়কালে পৃথিবী ঋতুমতী হয় বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে ৫১টি শক্তিপীঠের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি শক্তিপীঠের নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। অসমের গুয়াহাটি শহরে অবস্থিত কামাখ্যা দেবী মন্দিরটিও একান্ন শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর অম্বুবাচীর সময় এই মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অসমেই নয়, গোটা বিশ্বেই এই সময়কালটি খুব বিখ্যাত। এ মেলায় বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়। কামাখ্যা মন্দিরে আয়োজিত এই মেলার সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু অলৌকিক ও আকর্ষণীয় বিষয়, যা সকলকে অবাক করে তুলতে পারে। এ বছর কবে হবে অম্বুবাচী ও এর গুরুত্ব কী, তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল। জ্যতিষমতে, সূর্যদেব আষাঢ় মাসে মিথুন রাশিতে আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে গমন করে. সেই সময়কালটিকে বলা হয় অম্বুবাচী কাল। এ বছর ২২ জুন শুরু হয় হতে চলেছে। শেষ হবে ২৬ জুন পর্যন্ত। এই সময় মন্দিরের দরজা তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকে। সাধারণত এদিন থেকে দেবীকে বিশেষভাবে যত্ন করে রাখা হয়। কারণ এই সময় দেবীকে অশুচি বলে মনে করা হয়। তাই প্রত্যেক দেবীর মন্দিরে কাপড় দিয়ে মাতৃবিগ্রহ ঢেকে রাখার প্রচলন রয়েছে। অনেকে এই সময় দেবীর নিত্যসেবাও স্থগিত করে রেখে দেন। হিন্দুধর্ম মতে, এই সময় কালে দেবী যোগনিদ্রায় মগ্ন থাকেন। একান্তে নির্জন বাস করার ব্যবস্থা করা হয়। এই কারণে ভক্তরা কামাখ্যা মন্দিরের দেবীকে দেখার অনুমতি পান না। আগামী ২২ জুন, মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনদিন পর. কামাখ্যা দেবীকে স্নান করে শুদ্ধ করে সাজিয়ে তোলা হয়। এরপরেই ভক্তদের জন্য দেবীদর্শনের দরজা খুলে দেওয়া হয়।