ক্রাইম দেশ

কালা জাদু! দুই মহিলাকে নরবলির পর শরীরের বিভিন্ন অংশ রান্না করে সেবন অভিযুক্তদের

সমৃদ্ধি লাভের আশায় কালা জাদুর শরণাপন্ন হয়ে দুই মহিলাকে অপহরণ পরে নরবলির।  সূত্রে খবর, পদ্মা এবং রসলিনকে অপহরণের পর শক্ত করে তাঁদের হাতে বাধা হয়। শ্বাসরোধ করে খুনের আগে, প্রথমে ওই দুই মহিলার স্তন কেটে ফেলা হয়। পদ্মা এবং রসলিনের স্তন কেটে ফেলার পর তাঁদের শরীর থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অপহৃত এক মহিলার দেহের ৫৬ টুকরো করা হয়। এরপর গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয় অপহৃত মহিলার দেহ। রসলিনের দেহের অংশ তাঁর বাড়ির পাশের গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে পদ্মার শরীরের বিভিন্ন অংশ তাঁর বাড়ির পাশের তিনটি গর্ত থেকে করা হয় উদ্ধার। কোচির ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশ ৷ পুলিশ জানাচ্ছে, দুই মহিলার দেহ কেবল ৫৬ টুকরো করে পুঁতে দেওয়াই নয়, গুণিন মহম্মদ শফি-র নির্দেশে সেগুলো রান্না করে সেবনও করে অভিযুক্ত দম্পতি ৷ সফির পাশাপাশি ভগবল সিং এবং লীনা নামে যে দম্পতিকে আটক করা হয়েছে, তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। জানা যায়, নিজেকে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতেই ভগবল সিং এবং লীনা নামে ওই দম্পতি রসলিন এবং পদ্মার নরবলি দিয়ে তাদের মাংস রান্না করে খাওয়া শুরু করে। চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয় পদ্মকে। ওই মহিলাকে খুুঁজতে গিয়ে জানা যায়, জুন মাসে কেরলের কালাডি থেকে রসলিন নামে আরও একজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর ওই দুই মহিলার গলা প্রথমে চিরে ফেলা হয়। এরপর ওই অবস্থায় তাঁদের মাটির দেহ মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যেই ওই দুই মহিলাকে বলি দেওয়া হয় বলে জানা যায়। আদালতে পেশ করা হলে তিন অভিযুক্তকেই এদিন ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷ বুধবার অভিযুক্তদের এর্নাকুলামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় ৷ আদালতে পেশ করার সময় তিন অভিযুক্ত মহম্মদ শফি এবং বগওয়াল সিংয়ের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা থাকলেও আরেক অভিযুক্ত অর্থাৎ বগওয়ালের স্ত্রী লায়লার মুখ খোলাই ছিল ৷ পুলিশ জানিয়েছে এই প্রথম নয়, কালা জাদুতে বশ করে এর আগেও এক মহিলাকে বলি দেওয়ার জন্য তার ডেরায় এনেছিল শফি ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর কোচির পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানিয়েছেন, বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন শফি নাকি একাধিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে ৷ শফিই পুরো ঘটনার নীল নকশা সাজিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ পুলিশ কমিশনারের কথায় কালা জাদুর শিকার দুই মহিলাকে খুনের পর তাদের শরীরে অংশগুলি অভিযুক্ত দম্পতি থিরুভালার বাড়িতে গর্ত করে পুঁতে রেখেছিল ৷ ঘটনার শিকার দুই মহিলা লটারির টিকিট বিক্রি করে দিন গুজরান করতেন বলেই খবর ৷ ডিএনএ পরীক্ষার পরেই দুই মহিলার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ ৷