বিজয়া মিটতেই ফুলবদল করেছেন বাঁকুড়া কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। দিন তিনেক আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। আর এরপরই এমন দাবি করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে চাইছেন বিধায়করা। ২০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন নেতৃত্বের সঙ্গে। আর কুণাল ঘোষের এই দাবিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল, দুশোর বেশি আসন। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর এবং দিনহাটা থেকে জয়ী হলেও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে বহাল থাকেন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫-এ। এরপর তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাসরা। সেই তালিকায় সম্প্রতি নাম তুললেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারেরও। আর তারপরই কুণাল ঘোষের বড় দাবি। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ”শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে বলুক দেশের ব্যাঙ্কগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে যারা, তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আছে। শুভেন্দু নিজে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। আগে নিজের সম্পর্কে জবাব দিক, পড়ে লোককে নিয়ে কথা বলবে। শুভেন্দু অধিকারী তো ২০২০ সালে বিজেপিতে গিয়েছেন। যতদিন তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেছেন, কতগুলো চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন?এত জানি ভাব করছেন, একটা চিঠি দেখান দলকে বা মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন। জাত নেই কূল নেই। কুলাঙ্গার।”