জেলা

ঝাড়গ্রামে বিরসা মুন্ডার জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী

ঝাড়গ্রামে বীর বিরসা মুন্ডার জন্মদিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতেই অন্যরুপে ধরা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসীদের সঙ্গে বাজালেন তাদের চিরায়ত বাদ্যযন্ত্র। নাচের তালেও পা মেলালেন। সাথে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। প্রশাসন ও দল যে আদিবাসীদের পাশের মানুষ ও কাছেরই মানুষ তারই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বভাবত ঢঙে। এছাড়া এদিন বীরসা মুন্ডার মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘এক সময় জঙ্গলমহলে মানুষ রাস্তায় হাঁটতে ভয় পেত। এখন মানুষ শান্তিতে আছেন।’ ২দিনের ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘এক সময় এই জঙ্গলমহলে মানুষ রাস্তায় হাঁটতে ভয় পেত। ছেলেমেয়েরা পড়তে যেতে পারত না। এখন মানুষ শান্তিতে আছেন। আমরা আদিবাসীদের অধিকার দিয়েছি। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য বঞ্চিত হবে না। আমি টাকা দেব।’ তিনি বলেন, ‘ঝাড়গ্রামে এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষের জন্য অসুবিধা হচ্ছে। তবে আমি তা দেখছি। আরও বেশি পুকুর কাটতে হবে। ২০২৪ এর শেষের দিকে প্রত্যেকের বাড়িতে খাবার জল পৌঁছে যাবে।’স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরসার ভূমিকা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘সাঁওতালি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিনকে ছুটি দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা শিক্ষাশ্রী পান। এখানে নতুন মেডিকেল কলেজ হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প হয়েছে।’ এদিন বিরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরসা মুন্ডার ৬টি মূর্তির উদ্বোধন করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে ৩২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল। ১০০০ আদিবাসী বন্ধুদের ধামসা মাদল তুলে দেওয়া হচ্ছে। ১৮ লক্ষ জাতি শংসাপত্র পেয়েছেন। আগে জাতি শংসাপত্র পেতেন না। মেডিকেল কলেজগুলিতে ৬০০ আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৫০ হাজার আদিবাসীকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে।’