কলকাতা

বাংলার ‘স্মার্ট’ পুলিশকে যেন কেউ ‘স্মার্টনেস’ শেখাতে না আসেঃ মুখ্যমন্ত্রী

আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনী যুদ্ধের আগেই কার্যত আদালত যুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীরা দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট একের পর এক মামলা হয়েছে। সর্বশেষ রায় অনুযায়ী রাজ্যে ৮২ হাজার বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে ভোট করাতে হবে। সেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানির আগেই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। সাফ জানালেন, ‘বেশি স্মার্ট হতে যেও না।’ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন রাকু পুলিশের ঘেরাটোপেই করাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিমতে সায় ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনরেরও। কেননা গত বছরও পুরনির্বাচন হয়েছিল পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। সেই নির্বাচন ছিল সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ। তাই এবারেও কমিশন রাজ্য পুলিশেই আস্থা রেখেছিল। কিন্তু আদালত বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে বলেছে। এদিন পাটনা যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য রাজ্য পুলিশের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলার পুলিশ অন্য কোনও রাজ্যের পুলিশের থেকেই কম নয়। বাংলার পুলিশকে একসময় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হতো। কিন্তু কেন্দ্র বার বার বাংলার পুলিশকে বঞ্চনা করেছে। ত্রিপুরা বা উত্তরপ্রদেশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায় না। যত বাহিনী পাঠানো শুধু বাংলার জন্যই। এসো, কিন্তু বেশি স্মার্ট হতে যেও না। ওরা যত আমাদের ঘাঁটাবে, যত আমাদের পিছনে লাগবে, যত এজেন্সি লাগাবে, মানুষ তার জবাব দেবে। ভোটটা তো দেবে মানুষ। আমরা লড়ে নেব, আমরা জিতে নেব। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্যাঁচে ফেলা যাবে না।’