জেলা

‘ফোঁস করতে তো বারন করিনি’, কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় আগেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি নিজেই প্রশ্ন তুলে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবার সেই কালিয়াগঞ্জেরই এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জেলার পুলিশ কর্তাদের ভরা সভা থেকেই ধমক দিতে তিনি পিছুপা হলেন না। কেননা পুলিশের গাফিলতির জেরে তাঁর দিকেও আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। তাই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি পুলিশকে এহাত যেমন নিলেন তেমনি তাঁদের আগামী দিনের রাস্তাও দেখালেন। কী করতে হবে, আর কী করা যাবে না সেটাও খোলসা করে দিলেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদার ইংরেজবাজার শহরে এদিন ছিল তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন মালদা ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁদের সকলের সামনেই পুলিশকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কামড়াতে বারন করেছি, ফোঁস করতে তো বারন করিনি।’ কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। এদিন সেই ক্ষোভ ঝরে পড়ল পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ওসি কেন পৌঁছননি? ঘটনাস্থলে দুটি কনস্টেবলকে পাঠিয়ে দেওয়া হল, ওসি গেলেন না। কিছু কিছু আইসি আমি দেখছি ইদানিং একটু ল্যাথারজেটিক হয়ে গিয়েছে। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় কেন ওসি যাননি ? কনস্টেবল গিয়ে দু ঘণ্টা ধরে আবার বসে আছেন। একটি ডেডবডি যখন তুমি দেখতে পাচ্ছো, তখন সঙ্গে সঙ্গে আইসি যাবে। সম্মানের সঙ্গে বডিটাকে নিয়ে আসবে। কিছু আইসির বড় মেদ হয়ে গিয়েছে। প্রথমে কনস্টেবলকে পাঠিয়েছে কেন? নিজে যায়নি কেন?’ এখানেই থেমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা মানুষকে জানাতে এত দেরি হল কেন ?” সঙ্গে সঙ্গে কী হয়েছে জনগণকে জানিয়ে দিলে মিডিয়া এই ধরনের ট্রায়াল করার সুযোগ পেত না। ঘটনা ঘটলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। ওয়েন্টিং লিস্টের কোনও জায়গা নেই।’ এর পরেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গুলিটা কে চালাল? আমি তো শুনেছি ওই গ্রামটা বিএসএফ কন্ট্রোল করে। ইস ইট এ ফ্যাক্ট? গ্রামটি বিএসএফ সুপারভাইস করে। আমি জিজ্ঞাসা করছি, কারণ এটার একটা তদন্ত হওয়া উচিত। কামড়াতে বারন করতে বলেছি, ফোঁস করতে তো বারন করিনি। গুলি চালাতে তো বলছি না। সব থেকে বড় অস্ত্র হল আইন। সেটাকে ব্যবহার করছেন না কেন?