কলকাতা

মমতার সম্পর্ক ছিন্নের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত বদল বাবুনের

সকাল থেকেই চর্চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্য়োপাধ্যায় (বাবুন) । তৃণমূলের হাওড়ার প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার বিতর্কের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবার তন্ত্রে তিনি বিশ্বাস করেন না। দল যাঁকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেছে, তিনিই থাকবেন। দলের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি। পাশাপাশি ভাইয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পরেই সুর নরম হল স্বপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (বাবুন)। তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। আমি বিজেপিতে যাচ্ছি এটা একটা ভুয়ো খবর। আমি মনে করে যতদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ততদিন আমি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকব। জনগনের কাছে এই বার্তা আমি পৌঁছে দিলাম।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এই কথা শোনার পরেই কার্যত ইউ টার্ন নিয়েছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাবুন) । তিনি জানান,দিদি তাঁকে যা বলেছেন তা আশীর্বাদ হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। দিদির সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বাবুন বলেন, ‘দিদি আমরা ভগবান। দিদি-ভাইয়ের ব্যাপার, দিদি আজকে বকল। কাল দিদিকে যতই হোক, আমি পায়ে ধরে নেব। দিদি যদি আমায় মারে-ধরে, এটা পরিবারের ব্যাপার’।হাওড়া নিয়ে অবশ্য নিজের অবস্থানেই অনড় বাবুন। তিনি বলেন, ‘হাওড়াবাসীর কাছে আমি গ্রহণযোগ্য হিসেবে পাস করেছি। কিন্তু কর্মী হিসেবে আমি আমার জায়গায় বলতেই থাকব যে, হাওড়ায় যে প্রার্থী কে না দিয়ে যদি অন্য কেউ প্রার্থী হত, তাহলে আমি খুশি হতাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘ও ছেলেবেলার কথা ভুলে গিয়েছে। বাবা যখন মারা গিয়েছিল ওর আড়াই বছর বয়স ছিল। সেই সময় আমি কাজ করে ৪৫ টাকা পেতাম। তারপর রাজনীতি শুরু করি।’