কলকাতা

করোনা ঠেকাতে লকডাউন নয়, মাস্ক-স্যানিটাইজার ফিরছে রাজ্যে

দেশের ফের বাড়ছে কোভিড। সেই সব রাজ্যে এখন দৈনিক সংক্রমণ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। যেমন দিল্লিতে এখন দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৭০০ ছুঁইছুঁই করছে। হরিয়ানায় ৪০০’র বেশি। কেরলে ৪০০ ছুঁইছুঁই। রাজস্থানে ৩০০ ছুঁইছুঁই। বাংলার বুকেও দিন দুই আগেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এমনকি চলতি মাসে আমরা রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর ঘটনা আবারও চাক্ষুষ করেছি। এই অবস্থায় কোভিড নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোভিড ঠেকাতে ফের বাংলায় মাস্ক(Mask) ও স্যানিটাইজার বিধি ফেরানো হবে।  জানা গিয়েছে, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার কোভিড খুব শীঘ্রই একগুচ্ছ নির্দেশিকা বা Advisory জারি করবে যা রাজ্যের সকল বাসিন্দাকে মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের সব সরকারি অফিসে ফের স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে কতদিন অন্তর তা হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তিনি রাজ্যের সব সরকারি অফিসে স্যানিটাইজেশন করানোর বিষয়টি দ্রুত লাগু করেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এবার থেকে রাজ্যের সব মন্ত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সাধারন মানুষকেও মুখ্যমন্ত্রী মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার দ্রুত নির্দেশিকা জারি করবে। তবে আমজনতার জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সম্ভবত এই দুই জিনিস ব্যবহার করে কোভিড ঠেকানোর পরামর্শ দেওয়া হবে, তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। এমনকি মাস্ক না পরলে জরিমানা দেওয়ার বিষয়েও কোনও সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাজ্যে থাকা ৫ একরের বেশি সব সরকারি জলাভূমি মৎস্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই সব জলাভূমি লিজ দেওয়া হবে মাছ চাষ করার জন্য। এতে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে তেমনি রাজ্যের কোষাগারে টাকাও আসবে। আবার ভিন রাজ্যের ওপর বাংলার মাছ নির্ভরতাও কমবে। উল্লেখ্য, এখন বাংলায় নিত্যদিন যা মাছের চাহিদা আছে তার তিন-চতুর্থাংশই ভিন রাজ্য বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত থেকে আসে। মুখ্যমন্ত্রী এই নির্ভরতা কমিয়ে রাজ্যকে মাছ চাষে স্বনির্ভর করে তুলতে চান। ঠিক যেভাবে ডিম উৎপাদনে বাংলাকে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে দিয়েছেন, সেই পথেই বাংলাকে মাছ চাষের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলতে চান তিনি।