কলকাতা

বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র হাওড়া-কলকাতা, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর-কাঁচের বোতল, পিসিআর ভ্যানে আগুন, পড়ল বোমা

বিজেপি’র নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতরাগাছি ৷ সৌমিত্র খাঁ’র নেতৃত্বে দুপুর দেড়টা নাগাদ সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বর পেরিয়ে নবান্ন অভিমুখে মিছিল এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ ৷ আগে থেকেই সেখানে করা হয়েছিল ব্যারিকেড ৷ রাখা ছিল জলকামান, বজ্র ৷ মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ মিছিল থেকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে প্রথমে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ ৷ এরপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে উড়ে আসতে শুরু করে, ইট, পাথরের টুকরো, কাঁচের বোতল ৷ ব্যারিকেডের বাঁশ খুলে পুলিশের দিকে তেড়ে যেতেও দেখা যায় কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে ৷ পালটা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ, করা হয় লাঠিচার্জ ৷ এলাকার বোমাবাজিও হয় ৷ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুরো এলাকা ৷ ভেঙে ফেলা হয় পুলিশ কিয়স্ক ৷ সাঁতরাগাছি, হাওড়া

স্টেশন এবং কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে তিনটি মিছিল এগোয় নবান্নের দিকে। তিনটি মিছিলই নবান্নের অনেক আগেই আটকে দেওয়া হয়। বিজেপি সমর্থকরা বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও লোহার ব্যারিকেড ভাঙতে পারেনি। নবান্ন অভিযানের শুরুতেই ধুন্ধুমার ঘটে সাঁতরাগাছিতে। মিছিলকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশের উপর সমানে ইট, পাথর, বাঁশের টুকরো ছোড়া হয় তিন জায়গাতেই।  আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যানে ৷ পুড়ে খাক হয়ে যায় গাড়িটি ৷ পুলিশ জলকামান চালায়, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে পুলিশ ৷ অন্যদিকে, এদিন নবান্ন অভিযানে গিয়ে আহত হয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত ৷ বিজেপির এই অভিযানের জন্য বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতা এবং হাওড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। স্কুল-কলেজ ফেরত পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে বহু দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।