কলকাতায় ক্রমশই বেড়েছে বেআইনি নির্মাণ। অভিযোগও অসংখ্য। শনিবার ফের সেই অভিযোগেই বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম। কাঠগড়ায় দাঁড় করলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা পুলিশ ও নিজের হাতে থাকা পৌরসভার বিল্ডিং বিভাগকে। শেখ আব্দুল করিম ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের আহেরিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ছ’মাস ধরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ জানিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি দেখে গত সপ্তাহে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পৌরসভা থেকে সেই সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও গত একসপ্তাহ ধরে পৌরসভা থেকে কেউই যোগাযোগ করেনি। তাই আজ আবার বাধ্য হয়ে ফোন করেন তিনি। সেই অভিযোগ শুনে এদিন ফিরহাদ হাকিম আধিকারিকের উদ্দেশ্যে বলেন, “৬ মাস বাদে অ্যাকশান নিলে আর কী হবে? বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। দাদাগিরি করে বেআইনি নির্মাণ করবে। ৬ মাস অ্যাকশান না-নিলে লোক ঢুকে যাবে। তারপর আমরা ভাঙতে পারব না। তৈরি করার সময় না ভাঙলে লোক ঢুকে যাবে। বরো টাকা নিয়ে কাজ করবে। তখন মেয়রও নাচবে আর ডিজিও নাচবে। আর বরো টাকা নিয়ে তার নিজের কাজ করবে। লোয়ার লেভেলের বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট টাকা খায়। কমপ্লেন এসছে মানে রেট আরও ডবল হয়ে যাবে। অভিযোগ আসার পরেও ফলো-আপ হয়নি কেন অফিস থেকে? পয়সা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট খায় আর দোষ হয় কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর কি করে জানবে কোনটা বেআইনি আর কোনটা আইনি বিল্ডিং হচ্ছে। কোনটা অনুমোদন আমরা দিচ্ছি আর কোনটা দিচ্ছি না।” এদিন মেয়র বলেন, ‘কাউন্সিলররা প্রশাসনের অংশ নন। ফলে কোনও কাউন্সিলরের কাছে পাঠানো হয় না যে, তাঁর এলাকায় কোনও আইনি আর কোন বেআইনি। যদি বেআইনিভাবে প্ল্যান অনুমোদন করা হয়, তাহলে সেটা প্রশাসন করে, আমাদের বিল্ডিং বিভাগ করে। এখন যদি সেটা বেআইনি হয়, তাহলে ধরে নেব, বিল্ডিং বিভাগের গাফলতি কিংবা আন্ডার টেবিল! যদি অভিযোগ জানানোর পর থানা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেটাও তাই’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘অকারণে কাউন্সিলদের উপর বদনাম এসে পড়ে। কাউন্সিলররা তো জানেনই না, কোনটা আইনি আর কোনও বেআইনি’।