একাধিক ড্যাম থেকে ছাড়া হয়েছে জল। টানা বৃষ্টিতে নদী গুলিতে বেড়েছে জলও। যার জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘাটালের অধিকাংশ গ্রাম। ঘাটাল পুরসভার অন্তর্গত ১৭ টি ওয়ার্ডেও চজমেছে জল। জমা জলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। এর পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। নৌকায় চেপে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের এবং জনপ্রতিনিধি দের সঙ্গে নিয়ে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। দ্রুত সমস্ত বিষয় সমাধান করা হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাসও দেন সুব্রত বাবু। ঘাটালে অবস্থিত মহকুমা শাসকের দপ্তরেও ঢুকেছে জল। মহকুমা শাসকের দপ্তরের বাউন্ডারি ওয়ালের কিছু অংশ মেরামত করে দিয়েছে সেচ দপ্তর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঢুকছে জল। ঘাটালের ১২ টি পঞ্চায়েত এলাকা চলে গিয়েছে পুরোপুরি জলের তলায়। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে নদীগুলিতে জলস্তর এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানাচ্ছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। নতুন করে আর জল ঢুকছে না দাসপুর এবং ঘাটালে। জলমগ্ন এলাকা গুলি থেকে দ্রুত জল নেমে যাবে বলেই মনে করছে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।