জেলা

কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। গত ৬ এপ্রিল ধৃতকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারক একটি চিঠি দেন কুন্তল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা’। কেন? সিবিআই ও ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন,’অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত’। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে গিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জনসংযোগ সংযোগ যাত্রায় অভিষেক এখন জঙ্গলমহলে। তিনি বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূণ আস্থা রয়েছে।  তদন্তকারী সংস্থা যদি সমন পাঠিয়ে ডাকে, দরকার হল যাত্রা থামিয়ে তদন্তকারী সংস্থার অফিসে যাব। তাদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করা আমার কর্তব্য’। তাহলে কেন ডিভিশন বে়ঞ্চে মামলা? অভিষেকের বক্তব্য, ‘যেকোন বিচারপতি রায় দিতে পারেন, এটা তাঁর এক্তিয়ার। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার কাছে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের রাস্তাও খোলা রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চেও আপিল করতে পারি, সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করতে পারি’। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ও কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত-জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ” আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। কোনও যোগসাজশ পেলে একহাতে প্রমাণ দিন আরেক হাতে প্রকাশ্যে ফাঁসির মঞ্চ বানিয়ে আমাকে সেখানে তুলুন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। সারদা, নারদা, কয়লা, গোরুতে এতদিন বলে এসেছি, এখন এসএসসি-তেও বলছি। প্রমাণ পেলে সোজা ফাঁসির মঞ্চে যাব। ভারতবর্ষের কোনও নেতা এটা বলতে পারবেন না।”