দেশ

আদানির গ্রেফতারি চেয়ে অর্থমন্ত্রক-সিবিআই-ইডি দফতরে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদরা

আদানি ইস্যুতে আন্দোলন জারি রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদের সভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর ইডি, সিবিআই এবং অর্থমন্ত্রকের দফতরে গিয়ে এই ইস্যুতে সাংসদদের লেখা চিঠি এবং ‘অ্যারেস্ট আদানি’ লেখা টুপি দিয়ে আসে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। তাঁদের দাবি, গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বৃহস্পতিবার সভা শুরু হতেই উভয়কক্ষে আদানি নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে বিরোধীরা। ফলে উভয়কক্ষই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। অর্থমন্ত্রক, ইডি, সিবিআই দফতরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা : সংসদ ভবনের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পর সিবিআই, ইডি এবং অর্থমন্ত্রকের দফতরে রওনা দেয় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। ইডি এবং সিবিআই দফতরে চিঠি জমা দিতে যাওয়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অসিত মাল। ইডি দফতরের ভিতরে ঢুকতে গেলে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসৌজন্য দেখানো হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সাংসদদের তীব্র বচসা হয়। ইডি দফতরে ‘অ্যারেস্ট আদানি’ লেখা টুপি এবং চিঠি জমা দেন তৃণমূল সাংসদরা। যদিও কোনও প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়নি বলে অভিযোগ দলীয় প্রতিনিধিদের। অন্যদিকে সিবিআই দফতরে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সেখানে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সদর দফতর থেকে বেরিয়ে সাংসদ দোলা সেন বলেন, এলআইসি এবং এসবিআইকে ডুবিয়ে দিয়ে আদানিকে বাঁচাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আদানিকে গ্রেফতারের দাবি জানাতে আমরা ইডি দফতরে এসেছিলাম। আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্ত এবং আদানিকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, এটাই আমাদের দাবি। এদিকে অর্থমন্ত্রকে যাওয়া তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন শান্তনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, প্রতিমা মণ্ডল, সুনীল মণ্ডল, আবু তাহের, মৌসম বেনজির নুর, সুস্মিতা দেব এবং খলিলুর রহমান। অর্থমন্ত্রকের দফতরের তরফে তৃণমূলের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়।