দেশ

২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার তুঘলকি ঘোষণায় সরব বিরোধীরা

২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণার সমালোচনা শুরু হল বিভিন্ন মহল থেকে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজারে চালু মহাত্মা গান্ধির সিরিজের ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। পরিবর্তে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল ২ হাজার টাকার নোট। তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করে বলেছে, ২০১৬ সালে বিজেপি সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে ভারতবাসীর জীবন যাত্রা বিপন্ন করে তুলেছিল। তখন বলা হয়েছিল, ২০০০ টাকার নোট চালু করলে কালো টাকার রমরমা বন্ধ করা যাবে। ৭ বছর পর সরকার ২০০০ টাকার নোটও তুলে নিচ্ছে। এটা কি মোদিনমিকের মাস্টারস্ট্রোক?  কংগ্র্রস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে বলেন ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তুঘলকি ফরমান জারি করে নোটবন্দির মাধ্যমে  সরকার এক অদ্ভুত অচলবস্থা তৈরি করেছিল। তারপর তারা ২০০০ টাকার নোট চালু করে। এখন সরকার আবার এই নোটও তুলে নেওয়ার কথা বলছে। এই হচ্ছে আমাদের স্বঘোষিত বিশ্বগুরুর অবস্থা। উনি আগে কাজ করেন পরে ভাবেন। এই নয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে সিপিএমও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা তুঘলকি কারবার বলেই মনে হয়। আগেরবার সরকার যা বলেছিল সেটা তো হয়নি। বরং সম্পদ বেড়েছে তৃণমূল, বিজেপি নেতাদের। এই কেন্দ্রীয় সরকার আদানি-আম্বানিদের স্বার্থটাই বিবেচনা করে। মানুষের স্বার্থের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। নিজেদের সম্পদ বাড়লেই তাতেই ওরা খুশি।’