খেলা

টি-২০ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের কাছে ১ রানে হার পাকিস্তানের

 ইংল্যান্ডের পর এবার পালা পাকিস্তানের। বৃহস্পতিবার জিম্বাবোয়ের কাছে ১ রানে হারলেন বাবররা।‌ শুরুতেই জোড়া ধাক্কা। পরপর দুটো ম্যাচ হেরে ঘোর সমস্যায় পাকিস্তান। ভূমিপুত্র সিকান্দর রাজার দাপটেই চূর্ণ হয়ে গেল জয়ের স্বপ্ন। এদিন মোক্ষম সময় ছন্দে থাকা শান মাসুদকে আউট করে জিম্বাবোয়েকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন শিয়ালকোটের স্পিনার। একই ওভারে শাদাব খান এবং হায়দার আলিকে ফিরিয়ে দেন সিকান্দর। নিজের পরের ওভারে জন্মসূত্রে পাকিস্তানি বোলার তুলে নেন শান মাসুদকে। আক্ষরিক অর্থে একেই বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে জিম্বাবোয়ে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ পাকিস্তান। শেষ ওভারে ১১ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নওয়াজকে ফিরিয়ে দেন ইভানস। শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান। ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করার রান নেওয়ার সময় রানআউট হন শাহিন আফ্রিদি। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে বাকি তিনটে ম্যাচই জিততে হবে বাবরদের। টসে জিতে ব্যাটিং নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। জিম্বাবোয়ের ব্যাটিং ডাহা ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শিন উইলিয়ামস। ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে জিম্বাবোয়ে। মনে হয়েছিল ম্যাচটা অনায়াসেই জিতবে পাকিস্তান। কিন্তু ফের ব্যাটারদের ব্যর্থতা। ভারত ম্যাচের পর এদিনও ফ্লপ মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম। রান পাননি ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করা ইফতিখারও। একমাত্র লড়লেন শান মাসুদ। ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন। শাদাবের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ দেখে মনে হচ্ছিল জয়সূচক রানে পৌঁছে যাবে পাকিস্তান। কিন্তু সিকান্দর রাজার একটা স্পেল বদলে দিল ম্যাচের রং। ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট তুলে নেন।  নয়ের দশকে ‘জো জিতা ওয়াহি সিকান্দর’ নামে একটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবির নামের সঙ্গে আজকের ম্যাচের ব্যাকড্রপ কাকতালীয় ভাবে মিলে যাচ্ছে।