জেলা

শ্বাসরোধ করে খুনের পর সার্জিক্যাল কাটার দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করা হয় প্রাক্তন নৌসেনার দেহ, ময়নাতদন্তে নয়া তথ্য

প্রাক্তন নৌসেনার খণ্ডিত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। বারুইপুরের হত্যাকাণ্ডে এবার উঠে এল চাঞ্চল্য কর তথ্য। মৃতের দেহ ময়নাতদন্ত করে পাওয়া গিয়েছে এই তথ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছিল প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে। এরপরে দুষ্কৃতীরা তাঁর দেহকে সার্জিকাল কাটার দিয়ে কাটে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এভাবেই দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর-মল্লিকপুর রোড সংলগ্ন ডিহি এলাকায় অবস্থিত একটি পুকুর থেকে প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছিল। দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল ভয়াবহ অবস্থায়। মৃতের মুখ বাঁধা ছিল প্লাস্টিকে। ছিল না দেহের নিম্নাংশ এবং দু’টি হাত। কে, কেন এমন নৃশংস খুন করেছে- সেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত, তা জানার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার এক পরিবারের সঙ্গে বচসা হয়েছিল উজ্জ্বল বাবুর।  জানা গিয়েছিল, বারুইপুরেই থাকতেন উজ্জ্বল। কাজ করতেন নিরাপত্তারক্ষীর। গত ১৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। সেদিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী একটি দেহটি পুকুরে ভাসতে দেখে। এরপর পুলিশে খবর দিলে দেহ উদ্ধার হয়। দেহটির দু’টো হাতই কাটা ছিল। সেগুলো পাওয়া যায়নি। দেহের নীচের অংশ নেই।