২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বিমুদ্রাকরণ বা ডিমনিটাইজেশনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই ঘটনার পর সাত পেরিয়ে গিয়েছে ৷ তার পরও বুধবার এই নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ তিনি এই ঘটনাকে মোদি সরকারের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে কটাক্ষ করলেন ৷ বুধবার সেই বিমুদ্রাকরণ বা ডিমনিটাইজেশনের বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিঁধলেন একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতা ৷ সেই সময় মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এ দিন এই নিয়ে তিনি হিন্দি ভাষায় একটি পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে (আগে যা টুইটার নামে পরিচিত ছিল) ৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিমুদ্রাকরণ একটি সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র ছিল ৷’’ কেন তিনি এই কথা বলছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রাহুল ৷ তাঁর বক্তব্য, এর উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান ধ্বংস করা, শ্রমিকদের আয় বন্ধ করা, ছোট ব্যবসা নির্মূল করা, কৃষকদের ক্ষতি করা ও অসংগঠিত অর্থনীতি ভেঙে দেওয়া ৷তাঁর আরও দাবি, নোটবন্দির মাধ্যমে মোদি সরকার 99 শতাংশ সাধারণ ভারতীয়র উপর আক্রমণ করেছিল এক শতাংশ পুঁজিবাদীদের লাভ দেওয়ার জন্য ৷ ওই এক শতাংশ পুঁজিবাদীকে মোদির বন্ধু বলেও কটাক্ষ করেছেন রাহুল ৷ তাঁর আরও দাবি, সাধারণ মানুষের অর্থে বন্ধুদের ধনী করার এটাই সহজ উপায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৷অন্যদিকে ডিমনিটাইজেশন নিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে ৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি আজ বিমুদ্রাকরণের সপ্তম বার্ষিকী ৷ যে পদক্ষেপ আপনি করেছিলেন ভারত থেকে কালো টাকা নিমূর্ল করার জন্য ৷ আমাদের কি এখন এই বিষয়টিকে উদযাপন করা উচিত, নাকি এর চরম ব্যর্থতার জন্য শোকপালন করব ৷’’এই নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও ৷ তিনি নোটিবন্দির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্য ও তখন সংসদে দেওয়া তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে ৷ সঙ্গে লিখেছেন, বিমুদ্রাকরণের নামে জালিয়াতির বোঝা 2016 সালের 8 নভেম্বর চাপানো হয়েছিল ভারতবাসীর মাথায় ৷উল্লেখ্য, 2016 সালের 8 নভেম্বর ঠিক রাত 8টায় বিমুদ্রাকরণের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সময় তিনি দাবি করেন যে কালো টাকা নির্মূল করতেই সরকার এই পদক্ষেপ করছে ৷ এমন একটি ঘোষণায় হইচই পড়ে যায় সারা দেশে ৷ বিরোধীরা এই নিয়ে বরাবর কাঠগড়ায় তোলে প্রধানমন্ত্রীকে ৷ এই সিদ্ধান্তের জন্য দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও অনেকে দাবি করেন ৷উলটোদিকে বিজেপি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে বারবার ব্যাখ্যা করেছে ৷ এর ফলে কালো টাকার অর্থনীতিকে অনেকাংশেই নির্মূল করা গিয়েছে বলে গেরুয়া শিবির একাধিকবার দাবি করেছে ৷