কলকাতা

আজও রাজ্যজুড়ে চলবে বৃষ্টি, জমা জলে বাড়ছে দুর্ভোগ, জারি সর্তকতা

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সর্বত্র। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে এটি ঝাড়খন্ড হয়ে দক্ষিণ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ অংশে পৌঁছবে।মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় দক্ষিণবঙ্গে। গয়া থেকে নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে শুক্রবারও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। গতকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমেছে শহর কলকাতার সর্বত্র। প্রায় একই অবস্থা জেলগুলিরও। জমা জলে বাড়ছে দুর্ভোগ। কলকাতা এবং সন্নিহিত জেলাগুলিতে আজ ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত লেগেই থাকবে, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বুধাবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় চলছে বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদদের কথায়, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৮.৮ মিলিমিটার। গতকাল লাগাতার বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা। এদিন সকালে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও জল কমেনি। রাস্তায় এখনও জমে রয়েছে জল। ব্যস্ত সময়ে কাজে বেরিয়ে জমা জলে দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। তবে টানা বৃষ্টিপাতের জেরে তাপমাত্রা কমেছে অনেকটাই। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় যা ১ ডিগ্রি কম। গরম অনেকটাই কমেছে তা বলাই যায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, আজ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এর পাশাপাশি পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়ও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নচাপটি এখন পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের কাছে অবস্থান করছে। পরে তা গতি বাড়িয়ে পশ্চিম দিকে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করবে। তারপর এই নিম্নচাপ দক্ষিণ বিহারের কিছু অংশ এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে প্রভাব ফেলবে। আবহাওয়াবিদদের কথায়, আগামীকাল অর্থাত্‍ শনিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ সন্নিহিত জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত লেগেই থাকবে। ধীরে ধীরে রবিবার থেকে কমে যাবে বৃষ্টিপাত। তাপমাত্রাও বাড়বে।পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে মত্‍স্যজীবীদের আগামী ২৪ ঘণ্টায় সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা হুগলি হাওড়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্র উপকূলে এই ঝড়ো হওয়ার পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।