প্রথম দফা ভোটদানের আগে আজ, বৃহস্পতিবারই প্রচারের শেষ দিন। আর তাই শিবিরের সব থেকে ভরসাযোগ্য খেলোয়াড়াদের এদিন মাঠে নামাল বিজেপি। সেই তালিকা থেকে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বাদ গেলেন না। জাতীয় স্তরের সমস্ত কাজ ব্যাতিরেকে তিনি নেমে পড়লেন বাংলার ভোটযুদ্ধে। রাজনাথ সিং বাংলায় পা রাখার আগেই অবশ্য জানিয়েছিলেন, বিজেপি এবার ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। আর এই ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তিনি আরও বলেছিলেন, ”মমতা দিদিকে বুঝতে হবে, সরকার সংবিধান মেনে চলে। অহংকারে চলে না।” তাঁর হুঙ্কারের ধরণ এদিনও একই রকম ছিল। এর আগে বিজেপি শিবির দাবি করেছে, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গা পুজো আয়োজনে কেউ বা কারা বাধা দেয়! এমনকী সরস্বতী পুজো করতেও নাকি বাধা পেতে হয় আয়োজকদের। কিন্তু কারা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব আয়োজনে বাধা দেয়! তা নিয়ে কখনও কোনও স্পষ্ট উত্তর শোনা যায়নি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মুখে। এদিন রাজনাথের মুখেও একই কথা শোনা গেল। তিনি বললেন, ”সারা দেশ নতুন শতাব্দিতে চলছে। একমাত্র বাংলাতেই এখনও যেন উনবিংশ শতাব্দী চলছে। ৫ বছর বামপন্থীরা বাংলাকে লুঠেছে। ১০ বছর ধরে মমতার সরকার লুঠপাট চালাচ্ছে। বাংলা তো ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। বাঙালির মাটিতে এবার মা দুর্গা, সরস্বতীর পুজো কে আটকায় দেখি!” রাজনাথ সিং এদিন আরও বলেন, ”বাংলায় মা, মাটি, মানুষ কেউ সুরক্ষিত নেই। দিদি বারবার মা, মানুষের সুরক্ষার কথা বলে ভোট চায়। কিন্তু কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। দশ বছর কেটেছে। বাংলার অস্থির পরিবেশ তৈরি হয়েছে এই তৃণমূল সরকারের জন্য। এখানে জায়গায় জায়গায় সন্ত্রাস। এমনকী মমত দিদির কথাবার্তাতেও হিংসা, হানাহানি রয়েছে। যে বাংলার মাটিতে একসময় রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনা যেত-আজ সেই বাংলাতেই কেবল বোমার শব্দ শোনা যায়। দিদি, সরকার অহংকারে চলে না। সরকার মানুষের জন্য, সংবিধান মেনে চলে। বাংলার মানুষ এবার তৃণমূলের সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চায়। আমি নিশ্চিত বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসছে।”