দেশ

ফের নোটবন্দি! এবার ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া

২ হাজার টাকার নোট নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে আর বাজারে ছাড়া হবে না ২ হাজার টাকার নোট। বাতিল হয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড় সাধ করে আনা ২ হাজার টাকার নোট। আর ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চার মাসেরও বেশি সময় মিলবে ২,০০০ টাকার নোট বদলে সম পরিমাণ টাকা নেওয়ার জন্য। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২ হাজার টাকার নোট। অর্থা‍ৎ পয়লা অক্টোবর থেকে আর বৈধ থাকবে না ২ হাজার টাকার নোট। তবে যাদের কাছে ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে তাদের ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই বলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২ হাজার টাকার নোট বদলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আগামী ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে ২ হাজার টাকার নোট জমা দিয়ে তার পরিবর্তে সম পরিমাণ টাকা অন্যান্য নোটে বদলে নিতে পারবেন। তবে একজন ব্যাক্তি সর্বাধিক ২০,০০০ টাকা মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট বদলে নিতে পারবেন। অর্থা‍ৎ প্রত্যেককেই ১০টি ২ হাজার টাকার নোট বদলানোর সুযোগ দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কে ২,০০০ টাকার নোট জমা দিলেও ব্যাঙ্ক নতুন করে কোনও গ্রাহককে যাতে ২,০০০ টাকার নোট প্রদান না করে তার দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। ২,০০০ টাকা নোট বদলে নেওয়ার জন্য ১৩১ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। একজন সাধারণ মানুষ এক বারে ২০,০০০ টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট বদলে নিতে পারবে। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বদলানো যাবে ২,০০০ টাকার নোট। এই নোট বিনিময়ের জন্য কোনও ব্যক্তির কোনও নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহক হওয়া প্রয়োজনীয় নয়। একজন নন-অ্যাকাউন্ট হোল্ডারও যে কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে একবারে ২০ হাজার টাকার সীমা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদলে নিতে পারবেন।  দেখাতে হবে না কোনও পরিচয়পত্রও। ব্যাংক গুলি ছাড়াও, ২৩ মে থেকে আরবিআইয়ের ১৯টি আঞ্চলিক অফিসেও ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজারে চালু মহাত্মা গান্ধির সিরিজের ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। পরিবর্তে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল ২ হাজার টাকার নোট। মোদি সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তে কার্যত ধসে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় শতাধিক সাধারণ মানুষের।