ভানু ভবনে অনুষ্ঠিত হল জিটিএ সভা ৷ মঙ্গলবার জিটিএ সভাতে গোর্খা টেরিটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৪৫ জন সদস্য় ৷ এই বৈঠক পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি-সহ ১২টি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে ৷
প্রস্তাবগুলি হল :
- গোর্খাল্যান্ড সংলাপ, যা আগে ১১ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে তা আবার চালু করা উচিত ।
- অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের চাকরিতে নিয়মিতকরণ ।
- গোর্খাদের ১১টি ভিন্ন জাতি বা সম্প্রদায়কে উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে ।
- জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী, গ্রুপ বি, সি এবং ডি স্তরের কর্মচারী নিয়োগের নিয়ম রয়েছে । সেই নিয়োগের জন্য একটি বোর্ড গঠন করতে হবে । তাই অধঃস্তন স্টাফ সিলেকশন বোর্ড (এসএসসি বোর্ড) গঠন করতে হবে।
- জিটিএ’র অধীনে থাকা স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) গঠন করা উচিত । যেসব শিক্ষক বর্তমানে বিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন, তাঁদেরও এসএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে ।
- চা বাগান ও সিঙ্কোনা বাগানের বাসিন্দারা এখনও জমি ও পাট্টার অধিকার পাননি । তাঁদের জমির অধিকার পেতে হবে ।
- জিটিএ সভার ৪৫ জন নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন । মোট দু’টি আসন তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকতে হবে ।
- শ্যামল সেন কমিশনের রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে যে শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার কিছু মৌজা এবং জলপাইগুড়ি জেলার ৫টি মৌজা জিটিএ জোনে একীভূত করা যেতে পারে ।
- জিটিএ’র অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট প্রস্তুত করা এবং রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করা ।
- শিলিগুড়িতে চালকদের জন্য রেস্ট হাউস নির্মাণ করা ।
- ভেলোরে গোর্খা কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ ।
- অতিমারী চলাকালীন চা-শ্রমিকদের জন্য উত্থাপিত তহবিল শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রাঙ্গনে শ্রমিক ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা ৷